বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই কোরিয়া সীমান্তে মাইন সরানো শুরু

দুই কোরিয়া সীমান্তে মাইন সরানো শুরু

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক শূন্য এলাকা —এএফপি

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে স্থলমাইন সরানো শুরু করেছেন দুদেশের সেনাসদস্যরা। দুদেশের শক্তিশালী যৌথ নিরাপত্তা এলাকার অংশ হিসেবে দক্ষিণ  কোরিয়ার পানমুনজম গ্রাম থেকে ইতিমধ্যে মাইন সরানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুদেশের সীমান্তে ৮ লাখেরও বেশি মাইন পোঁতা আছে।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গত মাসে উত্তর  কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ে দেশটির নেতা কিম জং-উন ও দক্ষিণ  কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের মধ্যে এক বৈঠকে সীমান্ত এলাকা থেকে মাইন সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোরিয়া যুদ্ধে যে স্থানে শত শত সেনা নিহত হয়েছিল, সেখান থেকেও মাইন সরানো হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার    প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার এক বিবৃতিতে জানান, জেএসএ এলাকায় যত মাইন আছে, তা ২০ দিনের মধ্যে সেনাসদস্যরা সরিয়ে নেবেন। সেনাদের মুখোমুখি অবস্থানের ভিতর জেএসএ হচ্ছে একমাত্র সেনামুক্ত এলাকা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, মাইন সরানোর পর তল্লাশি চৌকি ও অস্ত্র সরানো হবে। সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা কমানোর অংশ হিসেবে সেখানে অস্ত্র ছাড়া সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছিল, দুই কোরিয়ার মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমাতে সীমান্তে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধ করেছে তারা। লাউড স্পিকারগুলো এখন নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। ডিএমজেড হচ্ছে কোরীয় উপদ্বীপে ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও চার কিলোমিটার চওড়া এক প্রস্থ এলাকা। পুরো এলাকায় ভারী মাইন পোতা হয়েছে। এ ছাড়া মজবুত কাঁটাতারের  বেড়া দেওয়া হয়েছে। নজরদারি ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক তারের বেড়াও রয়েছে পুরো স্থানে। দুদেশের পক্ষে বিপুল পরিমাণ সৈন্য সেখানে প্রহরায় থাকে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দিকের পানজুমে জেএসএ এলাকা অতিক্রম করার কারণে গত বছরের নভেম্বরে উত্তর কোরিয়ার একজন  সেনাসদস্য নিজ বাহিনীর গুলিতে আহত হন। দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সাত বছর আগে কিম জং-উন ক্ষমতায় আসার পর দেশটির অনেক মানুষ উত্তর কোরিয়া ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যায়। ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হলেও উত্তর ও দক্ষিণ  কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বজায় ছিল। গত কয়েক মাসে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের সমঝোতাকে কেন্দ্র করে গত মাসে দুই নেতা পিয়ংইয়ংয়ে  বৈঠকে বসেন। কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কিম জং-উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে গত জুনে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ বৈঠক হয়।

সর্বশেষ খবর