মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ জন্য ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগ করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। যদিও চীন এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। এই অভিযোগ এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারপর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। দুজনেই সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনলেন। পেন্স সেই সঙ্গে দাবি করেছেন, চীন তাঁর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও হস্তক্ষেপ করছে। ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটে এক ভাষণে পেন্স বলেন, চীন অভূতপূর্বভাবে মার্কিন জনমতের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী মাসের মধ্যবর্তী নির্বাচন ও ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সংসদ নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে চীন। চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন পেন্স। তিনি বলেন, ‘চীন অন্য কাউকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায়।’ ট্রাম্প ও পেন্স সরাসরি চীনা হস্তক্ষেপের কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেননি বটে, তবে তারা নিজেদের দাবির পক্ষে বেশ কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। পেন্স বলেন, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সামনে রেখে এবং প্রচারণা যন্ত্রের মাধ্যমে আমেরিকার মানুষের মনে চীনা নীতি সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তার দাবি, যেসব রাজ্য গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছে, বাছাই করে সেসব রাজ্যের পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপাচ্ছে চীন।
তবে চীন এমন অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া বলেন, উড়ো খবরের ভিত্তিতে প্রমাণ হিসেবে গণ্য করে, ঠিক ও ভুল নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কিছু অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, চীন এমন আচরণের জোরালো বিরোধিতা করছে। চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন মারাত্মক অভিযোগের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত থেকে ভোটারদের মনোযোগ সরিয়ে ফেলতেই চীনকে শত্রু হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে। সে ক্ষেত্রে নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান দল খারাপ ফল করলে তার দায় চীনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এদিকে মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী কির্স্টয়েন নিলসন ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রকে বলেছেন, কোনো বিদেশি শক্তি নির্বাচনের অবকাঠামোর ওপর হস্তক্ষেপ করছে, এমন কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে তিনি বলেন, চীনের সেই ক্ষমতা ও ইচ্ছা রয়েছে। ডয়েচে ভেলে
