সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিতর্কিত কাভানাই এখন মার্কিন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক

বিতর্কিত কাভানাই এখন মার্কিন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক

শপথ নিচ্ছেন ব্রেট কাভানাই —এএফপি

তীব্র বিতর্ক, যৌন অসদাচরণের অভিযোগ, বিক্ষোভ এত কিছুর পরও সেই ব্রেট কাভানাই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক। শনিবার তাকে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস শপথ বাক্য পাঠ করান। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো তোলপাড় চলছে। এর মধ্য দিয়ে তার নিয়োগ নিয়ে সিনেটে ভোট হয়। তাতে সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি বিচারক হিসেবে নির্বাচিত হন। সিনেটে তার পক্ষে ৫০টি ও বিপক্ষে ৪৮টি ভোট পড়ে। তার এ বিজয়কে প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পের জন্য বড় বিজয় বলে দেখা হচ্ছে। আর তার নিয়োগ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৯ বিচারকের সুপ্রিম কোর্টেও রক্ষণশীলরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি বড় সহায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে গত ৩১ জুলাইয়ে বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি অবসরে যাওয়ার পর তার শূন্য পদের জন্য ব্রেট কাভানাকে বেছে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্ল্যাসি ফোর্ড তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পর শুরু হয় বিতর্ক। এর মধ্যে আরও দুই নারী তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনেন। ফলে কাভানার মনোনয়ন নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের বিতর্কে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ করার সময় হলিউড অভিনেতাসহ তিন শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একেবারে শেষ সময়ে এসে অধ্যাপক ফোর্ডের অভিযোগ তদন্ত করে এফবিআই যে প্রতিবেদন গত ৪ অক্টোবর সিনেটে উপস্থাপন করে, তাতে সিনেটরদের পাল্লা কাভানার দিকে ঝুঁকে যায়। শনিবার সিনেটে ভোটাভুটির আগে ওয়াশিংটন ক্যাপিটলে জড়ো হয়ে কাভানার মনোনয়নের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখায় শত শত মানুষ।

এমনকি ভোটের সময় সিনেটের পাবলিক গ্যালারি থেকেও ‘শেম শেম’ বলে চিৎকার করতে থাকেন অনেকে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে শৃঙ্খলা ফেরাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।  তবে কাভানার নিয়োগ শেষ হলেও  আগামী মাসে মার্কিন কংগ্রেসে যে মধ্যবর্তী নির্বাচন তার প্রচারণার কেন্দ্রে থাকবে কাভানাকে নিয়ে বিতর্ক। রিপাবলিকানরা এটা ধরেই নিয়েছেন, যেসব স্থানে তাদের অবস্থান নড়বড়ে সেখানে এ ঘটনা তাদেরকে আরও নাড়া দেবে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, রিপাবলিকান নারী ভোটাররা এ কারণে নিজেদের দলীয় প্রার্থীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। ফলে প্রতিনিধি পরিষধে তারা ভালো অবস্থানে চলে আসবেন।

সর্বশেষ খবর