বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পর্দা উঠল বিশ্বের উঁচু ভাস্কর্যের

পর্দা উঠল বিশ্বের উঁচু ভাস্কর্যের

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় তিন হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে ১৮২ মিটার (৫৯৭ ফুট) উচ্চতার ব্রোঞ্জের প্রলেপে মোড়ানো ভাস্কর্যটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্মরণে নির্মিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের কেড়ওয়াড়িতে নর্মদা নদীর তীরে এ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ নির্মাণ করা হয়। এটি অসংখ্য পর্যটককে আকৃষ্ট করবে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে স্থানীয়রা একে ‘জনগণের টাকার অপচয়’ হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। যে পরিমাণ অর্থ খরচ করে বল্লভভাই প্যাটেলের এ ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে, তা আরও ভালো কাজে ব্যবহার করা যেত, বলছেন সাধারণ গুজরাটিরা। জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাস্কর্যটি উন্মোচন করার পর মোদি এ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’কে ভারতের অখণ্ডতা ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে ভারতীয় ভাস্কর রাম ভি সুতারের বানানো এ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন হয় বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার প্রত্রিকা। এটি নির্মাণের অর্ধেক ব্যয়ই গুজরাটের রাজ্য সরকার বহন করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো; বাকিটা এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল ও জনগণের চাঁদা থেকে। গুজরাটে জন্ম নেওয়া বল্লভভাই প্যাটেলের এ ভাস্কর্যটি নির্মাণের মূল পরিকল্পনাকারী মনে করা হয় মোদিকে। কংগ্রেসের নেতা হলেও ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী প্যাটেলকে পছন্দ করার কথা বেশ কয়েকবারই বলেছিলেন মোদি। ২০১০ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এ বিজেপি নেতাই প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন। নিউইয়র্কে অবস্থিত স্ট্যাচু অব লিবার্টির দ্বিগুণ উঁচু এ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ চীনের স্প্রিং টেম্পল বুদ্ধকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগ পর্যন্ত ১২৮ মিটার লম্বা টেম্পল বুদ্ধই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য। তবে ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ও এ পরিচয় বেশিদিন রাখতে পারতে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। মারাঠা বীর শিবাজীর স্মরণে মহারাষ্ট্রে যে ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে, উচ্চতায় তা বল্লভভাই প্যাটেলের ভাস্কর্যকেও পেছনে ফেলে দেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শিবাজির ওই ভাস্কর্যটি ১৯০ মিটার লম্বা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতের স্বাধীনতার পরপরই বেশ কিছু সামন্ত রাজ্যকে ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল। সেই ‘লৌহমানব’ বল্লভভাই প্যাটেলের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে নীরব যুদ্ধ চলছে।

২০১৩ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় মোদি বলেছিলেন, ‘সর্দার প্যাটেল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী না হওয়ায় সব ভারতীয়রই খেদ রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর