মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আলামত মুছতে ১১ জন সাত দিন তুরস্কে

খাশোগি হত্যাকাণ্ড

আলামত মুছতে ১১ জন সাত দিন তুরস্কে

সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর আলামত মুছে ফেলতে ইস্তাম্বুলে একজন কেমিস্ট ও একজন টক্সিকোলজি বিশেষজ্ঞসহ ১১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল তুরস্কে পাঠায় সৌদি আরব। গতকাল তুরস্কের সরকারপন্থি দৈনিক ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, খাশোগিকে  পরিকল্পিত উপায়ে হত্যা করেছে সৌদি। তার এই দাবির সত্যতাও মিলেছে। রিয়াদের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, সাংবাদিক খাশোগি হত্যা ছিল পরিকল্পিত। তবে ৫৯ বছর বয়সী এই সাংবাদিককে হত্যার পর তার মরদেহ কোথায় রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সৌদি। ডেইলি সাবাহর তথ্য বলছে, মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের প্রদায়ক খাশোগি বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। তার নিখোঁজের ৯ দিন পর গত ১১ অক্টোবর ১১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল তুরস্কে পাঠায় সৌদি আরব। কনস্যুলেটের ভিতরে খাশোগিকে হত্যার আলামত মুছে ফেলতে এই প্রতিনিধি দলকে ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়। এর আগে রিয়াদ থেকে ১৫ সদস্যের কিলিং স্কোয়াড পাঠিয়ে খাশোগিকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করে তুরস্ক। দৈনিকটি বলছে, কেমিস্ট আহমাদ আবদুল আজিজ আলজানোবি ও টক্সিকোলজি বিশেষজ্ঞ খালেদ ইয়াহিয়া আল জাহরানি তথাকথিত ওই ১১ সদস্যের দলে ছিলেন। ১১ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রত্যেক দিন কনস্যুলেটে যান এই সদস্যরা। পরে ২০ অক্টোবর তুরস্ক থেকে সৌদিতে পাড়ি জমান তারা। এমনকি ১৫ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত কনস্যুলেট ভবনে তল্লাশি অভিযান চালাতে তুরস্কের পুলিশকে অনুমতি দেয়নি সৌদি আরব। এরদোগানের উপদেষ্টা ইয়াসিন আকতে জানিয়েছেন, খাশোগির মরদেহ সম্ভবত অ্যাসিডে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে নিহত খাশোগির দুই ছেলে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের বাবার লাশ ফেরত চেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর