শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পৃথিবীর ঢাল ওজোন স্তর মেরামত হচ্ছে

পৃথিবীর ঢাল ওজোন স্তর মেরামত হচ্ছে

মহাশূন্যের ওজোন স্তর আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। ১৯৮০ সালে প্রথম দেখা যায় ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি হু হু করে পৃথিবীতে ঢুকে পড়ে। এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। শুরু হয় সেই ক্ষত সারানোর কাজ। এখন দেখা যাচ্ছে যে, এটি সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। উত্তর গোলার্ধের অংশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে ২০৩০ সাল নাগাদ আর এন্টার্কটিকা অংশে সময় লেগে যাবে ২০৬০ পর্যন্ত। জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি আসলে সেই উদাহরণ যা থেকে প্রমাণ করা যায় বিশ্বব্যাপী এই সংক্রান্ত চুক্তিগুলো কী অর্জন করতে পেরেছে। ওজোন স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত মানুষ-সৃষ্ট রাসায়নিক ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন এর কারণে, যার সংক্ষিপ্ত নাম সিএফসি।

ওজোন স্তরের কাজ কী? : পৃথিবীর মাটি থেকে ছয় মাইল ঊর্ধ্বে এই ওজোন স্তরের অবস্থান। অক্সিজেন অণুর এক বিশেষ রংহীন রূপ এই ওজোন। মূলত এটি পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। এই অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার, চোখের সমস্যা বা ফসলের ক্ষতি।

কীভাবে মানুষ এটির ক্ষতির কারণ? :  ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন গ্যাস বা সিএফসি যেন অনেকটা ওজোন স্তরকে খেয়ে ফেলতে থাকে। এই সিএফসি থাকে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে ক্যানে, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারে। ফলস্বরূপ ১৯৮৫ সালে দেখা গেল যে, দক্ষিণ গোলার্ধের ওজোন স্তরে বড় সড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে।

কতটা খারাপ অবস্থায় ছিল? : ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে এটি ছিল সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। ওপরের ওজোন স্তরের অন্তত ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। তবে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০০০ সাল থেকে প্রতি দশকে ৩% হারে এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো পুরোপুরি সাফল্য আসেনি, সময় লাগবে। বিবিসি

 

সর্বশেষ খবর