শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শরণার্থী প্রবেশ আরও কঠিন করছেন ট্রাম্প

শরণার্থী প্রবেশ আরও কঠিন করছেন ট্রাম্প

ল্যাটিন আমেরিকা থেকে যে জনসে াত যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছে তাদের জন্য দুঃসংবাদ ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নিয়মের আওতায় আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীরা আর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন না। মধ্য আমেরিকার শরণার্থীদের ‘ক্যারাভান’ বা জনসে াত থামাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। শুধু নির্বাচনের প্রচারের স্বার্থে নয়, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবেশ আরও কঠিন করে তুলতে ট্রাম্প প্রশাসন সত্যি কতটা বদ্ধপরিকর, তার প্রমাণ আবার পাওয়া গেল।

বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে প্রবেশকৃত অভিবাসীদের আশ্রয়প্রদান নিষিদ্ধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় মার্কিন বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দফতর। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় ‘সব ভিনদেশি নাগরিকের প্রবেশ বন্ধ’ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। তাদের ওপর প্রতিবন্ধকতা আরোপের এখতিয়ারও রয়েছে তার। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র/মেক্সিকান সীমান্ত হয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যদি নিষেধাজ্ঞা দেন, তবে যারা সে পথ দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে তাদের অভিবাসনের জন্য আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন জারি করা বিধানটি এখনই কার্যকর হচ্ছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এতে শিগগিরই স্বাক্ষর করবেন। নতুন এ নিয়মের বিরোধিতা করেছে দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। একে ‘অবৈধ’ পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছে তারা। সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের দাবি, প্রবেশ যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যে কেউ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘জাতীয় স্বার্থে’ বেআইনি অনুপ্রবেশ খর্ব করতে পারবেন। উল্লেখ্য, অতীতেও তিনি একই কারণ দেখিয়ে কয়েকটি মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন। প্রাথমিক আইনি বাধা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট গত জুন মাসে সেই সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত সংস্করণ অনুমোদন করেছিল। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টিয়েন নিলসেন ও কার্যনির্বাহী বিচারমন্ত্রী ম্যাথিউ উইটেকার বলেন, সেই একই নীতির আওতায় মেক্সিকো সীমান্তে এমন নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ব্যবস্থার দুর্বলতা সম্পর্কে দুই রাজনৈতিক শিবিরই সচেতন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে বিষয়টিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে, তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠছে। সাম্প্রতিক মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দক্ষিণ সীমান্তে শরণার্থীদের ঢল সম্পর্কে এমন সব দাবি করেছেন, যার সপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি সীমান্ত থেকে কয়েক শ মাইল দূরে শরণার্থীদের ‘জনসে াত’-কে তিনি দেশের ওপর হামলা হিসেবেও তুলে ধরেছেন।

সর্বশেষ খবর