বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হত্যাকারী ফোনে বলে, বসকে জানাও কাজ শেষ

খাশোগি হত্যাকাণ্ড

হত্যাকারী ফোনে বলে, বসকে জানাও কাজ শেষ

#সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যায় যে মিশন অংশ নেয়, সেই মিশন থেকে সৌদি যুবরাজের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে ফোন দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘আপনাদের বসকে বলুন মিশন সম্পন্ন হয়েছে’। এখানে ‘বস’ বলতে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে বোঝানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। পত্রিকাটি জানায়, খাশোগিকে হত্যা শেষেই ১৫ সদস্যের একজন সদস্য তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন দেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের অডিও ক্লিপের সঙ্গে জড়িত তিনজন, যারা তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এ রেকর্ড সংগ্রহ করেছেন, সেই সূত্র থেকেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, এখানে ‘আপনার বস’ বলতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিল সালমানকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এতদিন এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। তবে ওই কর্মকর্তার কথোপকথন এ সন্দেহকে আরও জোরালোভাবে প্রমাণ করল। খাশোগি হত্যা মিশনে ১৫ সদস্যের মধ্যে মেহের আবদুল আজিজ মুতরেব অন্যতম। তিনিই এই ফোনটি করেন এবং তিনি আরবি ভাষায় কথা বলেন। মুতরেব এক সময় সৌদি কূটনীতিক হিসেবে লন্ডনে কর্মরত ছিলেন। পরে যুবরাজের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। তাকে প্রায়ই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেশ-বিদেশে ঘুরতে দেখা যায়। সে হিসেবে, মুতরেব যুবরাজের অনেক কাছের মানুষ। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুতরেব ফোনটি করেছেন আরবি ভাষায়। তিনি তার ঊর্ধ্বতন সহযোগীকে বলেছেন, ‘কাজ শেষ’। তার অনুবাদ-এটাই দাঁড়ায়, যদিও ইংরেজিতে এর সঠিক অনুবাদ একটু ভিন্ন হতে পারে। তবে এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ, তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের কাছে যে অডিও রেকর্ডিং আছে তা পূর্ণাঙ্গভাবে মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত থাকার পক্ষে প্রমাণ দেয় না। কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করেন, সর্বশেষ যে প্রমাণটি পাওয়া গেছে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লু। ব্রকিংস ইনস্টিটিউশনে কর্মরত সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা বরুস রিডেল বলেন, এমন ফোনকল হলো বন্দুকের মুখের ধোঁয়ার মতো। এটা একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ।

গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয় এবং দেহাবশেষ অ্যাসিড ও কেমিক্যাল দিয়ে ভষ্ম করে ফেলা হয়। কনস্যুলেটে অ্যাসিড ও কেমিক্যালের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর