শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তেরেসা মের একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগ

ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া

ব্রেক্সিট নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। গতকাল ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার খসড়া নিয়ে আলোচনা হয় ব্রিটিশ মন্ত্রিপরিষদে। কিন্তু তাতে কোনো সায় পাননি তেরেসা মে। আর খসড়া নিয়ে আলোচনার পরই পদত্যাগ করেছেন ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক রাব। এরপর আরো একজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তিনি হলেন, কর্সংস্থান ও পেনসন মন্ত্রী এস্টার ম্যাকভে। আরো পদত্যাগ করেছেন জুনিয়র উত্তর আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইলেশ ভারা, রাবের জুনিয়র ব্রেক্সিটমন্ত্রী সুলা ব্রাভেরম্যান এবং সংসদীয় ব্যক্তিগত সচিব অ্যানি-মেরি ট্রেভেলিয়ান এবং রণিল জায়ায়ারডেনা। রাবের জুনিয়র ব্রেক্সিট মন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান ব্রেক্সিট চুক্তিকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে মূল্যায়ন করে পদত্যাগ করেছেন। কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য ও ইইউ কর্মকর্তারা বুধবার ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে একমত হন। এদিন দুপুরেই মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে খসড়া নথিটির বিষয়ে মন্ত্রীদের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী। চুক্তিটির ব্যাপক বিরোধিতা হয়েছে এদিনই। মন্ত্রিসভায় ৫ ঘণ্টার উত্তপ্ত অধিবেশনে সিনিয়র বেশ কয়েকজন মন্ত্রী মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আপত্তি তোলেন। ব্রেক্সিট মন্ত্রী রাব বলেন, ‘উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে চুক্তিতে যে বিধান রাখা হয়েছে তা যুক্তরাজ্যের অখন্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ।’

ওদিকে, মন্ত্রী এস্টার ম্যাকভে আপত্তি জানিয়ে বলেন, চুক্তিটিতে তহবিল, আইন, সীমান্ত এবং বাণিজ্য নীতির ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণের অভাব আছে। এতে করে যুক্তরাজ্য ব্রাসেলসের সঙ্গে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ অবস্থানে থেকে যাবে বলেই তার আশঙ্কা। তবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এই চুক্তি কার্যকরের জন্য সংসদের অনুমোদন পেতে হবে। এই খসড়া চুক্তিতে ইইউয়ের সদস্যদেশগুলোর অনুমোদনের জন্য ২৮ নভেম্বর বিশেষ সম্মেলন আয়োজনের কথা রয়েছে। সেখানে অনুমোদন পেলে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে উভয় পক্ষ। গত জুলাইতে সাবেক গৃহায়ণ ও স্থানীয় সরকারবিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক রাবকে ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডেভিড ডেভিসের পদত্যাগের পর এই দায়িত্ব পান ডমিনিক রাব। পদত্যাগের এ হিড়িকে টালমাটাল পরিস্থিতিতে পড়ল টেরিজা মে’র সরকার। যদিও প্রধানমন্ত্রী তেরেজা মে হাউজ অব কমন্সকে বলছেন, ব্রিটিশ জনগণ চায় এ চুক্তির কাজ শেষ হোক। তবে বিরোধীদলের নেতা জেরেমি করবিন এ চুক্তিকে একটি বাজে চুক্তি আখ্যা দিয়েছেন। বিবিসি

সর্বশেষ খবর