বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিশ্ব শিশু দিবস

ইরাকে ৮০ শতাংশ শিশু সহিংসতার শিকার

ইরাকের ৮০ ভাগ শিশুই বাড়ি কিংবা স্কুলে সহিংসতার শিকার হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। গতকাল এক জরিপের বরাত দিয়ে একথা জানায় সংস্থাটি। সামরিকভাবে পরাজিত হওয়ার পর থেকে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দেশটির বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। বিশ্লেষক ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দেশটির পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের সুন্নি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এ ধরনের হামলা বাড়ছে। তবে রাজধানী বাগদাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ইউনিসেফ জানায়, ‘ইরাকের বেশিরভাগ দরিদ্র শিশু সরকারি সহায়তা পায় না। ফলে তাদের শিক্ষাগ্রহণ ঝুঁকির মুখে পড়ে। দেশটির শিশুরা ভয়াবহ সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার।’ সংস্থাটি জানায়, ইরাকের ৯২ শতাংশ শিশুই প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয়। তাদের অর্ধেকই দরিদ্র পরিবার থেকে আসা। তবে উপরের শ্রেণিতে উঠতে উঠতে এই পার্থক্য বাড়তে থাকে। স্নাতক সম্পন্ন করে ২৫ শতাংশেরও দরিদ্র। ইউনিসেভ বলছে, দেশটির অর্ধেক সরকারি স্কুলেরই পুনর্বাসন দরকার, প্রতি তিনটি স্কুলের একটি একাধিক শিফট ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। শিশুদের শিক্ষা খুবই প্রয়োজন সেখানে। অনেক বছর ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্কুলভবন। বিগত বছরগুলোতে এই হার আরও বেড়েছে। দেশটির শিক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের মধ্যে দেশটিতে ২০ হাজার স্কুল প্রয়োজন।

অভিবাসী শিশুদেরও শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত করার আহ্বান :  বিশ্বব্যাপী অভিবাসী শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশকে তার দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে এসব শিশুকে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। ইউনেসকো সাংস্কৃতিক সংস্থা মঙ্গলবার তাদের ২০১৯ সালের গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং প্রতিবেদনে বলেছে, অভিবাসী ও শরণার্থী শিশুর সংখ্যা ২০০০ সাল থেকে ২৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখে দাঁড়িয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাধ্য হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়া বিশ্বের মোট লোকের প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে।

সর্বশেষ খবর