সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনীর স্বপ্ন দেখেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনীর স্বপ্ন দেখেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

ইউরোপের নিরাপত্তার বিষয়টির দেখভাল করে ন্যাটো। যে সংস্থাটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন। কিন্তু ফ্রান্সের তরুণ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মার্কিন ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে এসে ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনীর স্বপ্ন দেখেন বলে জানিয়েছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভরতা কমানোর পক্ষেই যুক্তি দেন তিনি। চলতি মাসের শুরুতেই এক সাক্ষাৎকারে মাক্রোঁ তাঁর এ ইচ্ছার কথা বলেন। তাঁর ভাষ্য, ‘চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমাদের নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেদের করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ইউরোপের স্বয়ংক্রিয় কৌশলের দিকে যাওয়া উচিত। এ কৌশলের মধ্যে থাকতে পারে ‘ট্রু ইউরোপিয়ান আর্মি’ তৈরি করা।’ এটা বলতে ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গড়ার কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাক্রোঁর ওই কথার পরই তাঁর সুরে সুর মেলান জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা ম্যারকেলও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপজুড়ে নানা জল্পনাকল্পনা চলছে। আর মাস চারেক পর অর্থাৎ আগামী বছরের ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা। ব্রেক্সিটের পর ইউরোপের সুরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ইউরোপের নেতারা। তাঁদের মধ্যে আছেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ম্যারকেল। দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপের অনেক নেতাই প্রতিরক্ষা খাতে একযোগে কাজ করার স্বপ্ন দেখে আসছেন। কিন্তু আগ্রহ থাকলেও তাঁরা এ পথ মাড়াতে সাহস দেখাননি। এর আগে ১৯৫০ সালে ইউরোপের বাহিনী গড়ে ওঠার কথা উঠেছিল। সেবার ফ্রান্সের বিরোধিতার কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি। বিরোধিতা করেছিল ব্রিটেনও। ব্রিটিশরা মনে করেছিল, এমন বাহিনী তৈরি হলে ন্যাটো ভেঙে যাবে কিংবা ফাটল ধরবে। এরপর বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। এবার হঠাৎ করেই এটি আলোচনায় উঠে আসার মধ্যে তিনটি অন্যতম কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ব্রেক্সিট কার্যকর হলে ইইউয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বাদ পড়বে। ইউরোপের বাইরে গেলে ইউরোপের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। আরেকটি হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কারণে ন্যাটোতে ইইউয়ের আস্থা কমে গেছে। তৃতীয় কারণ, ফ্রান্স ও জার্মানি বিশেষ বাহিনী গড়ে তুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর