শনিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হুমকির মুখে জি-২০ সম্মেলন

বাণিজ্যযুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে : চীন

রাশিয়া-ইউক্রেনের নতুন উত্তেজনা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য বিরোধ- এ দুয়ের কালোছায়ার মধ্যেই আর্জেন্টিনায় জি-২০ সম্মেলনের জন্য জড়ো হচ্ছেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে রাশিয়ার ইউক্রেনের জাহাজ আটকের ঘটনার জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ফলে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে নেতাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার যে কথা রয়েছে সেখানে এ দুই নেতার বৈঠকটি আর হচ্ছে না।  ওদিকে, শুল্ক নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে সেখানেও অগ্রগতির তেমন আশা নেই। কারণ, শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত। এ লড়াই বরং আরও বাড়তে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিভেদের কারণে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণাপত্রে এ বিষয়ে সবার মতৈক্যে পৌঁছানো সুদূর পরাহত হতে পারে। সম্মেলনে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়া সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিকে নেতারা কীভাবে দেখবেন সেটিও একটি প্রশ্ন। জি-২০তে আছে বিশ্বের সবচেয়ে শিল্পোন্নত ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দেশগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।

বাণিজ্যযুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রকে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিল চীন।  চীনের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও দমন-পীড়নের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে যখন খবর প্রকাশ পেয়েছে তখন এই হুঁশিয়ারি দিল চীন। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুদেশের মধ্যে। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কুই তিয়ানকাই এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চীন আশা করে, বুয়েন্সআয়ার্সে এমন একটি চুক্তি হবে যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষতিকারক বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধ হবে। বিশ্ব অর্থনীতির স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অংশীদারিত্বমূলক দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে কুই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিও চেষ্টা করে তাহলে তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

সর্বশেষ খবর