শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাখাইনে হামলায় সেনা কর্মকর্তা নিহত

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষ

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে সেনা ক্যাম্পে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি হামলা চালিয়েছে।পরে  সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের ব্যাপক  সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধানের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কবে সেই সংঘর্ষ হয়েছে তা বলা হয়নি। সেনাবাহিনী বলছে, রাখাইনের প্রত্যন্ত অঞ্চল বুথিডং ও রাথেডং এলাকায় আরাকান আর্মির সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। তবে সেনাসদস্যরা চারজন আরাকান আর্মির সদস্যকে হত্যা এবং তাদের কাছ থেকে এম-২২ রাইফেল জব্দ করেছে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে অতর্কিতে হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিরোধ হিসেবে গত ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তারা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন পরিচালনা করে। সংঘর্ষের সময় আরাকান আর্মির কমপক্ষে ৮০ জন যোদ্ধা সেনাবাহিনীর ইউনিট বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করে। সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহীরা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায়। দেশটির উত্তরাঞ্চলের এই প্রদেশে সেনাবাহিনীর কোন ইউনিট কাজ করে সেটা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। তবে বিবৃতিতে আরাকান আর্মির সদস্যদের ‘সশস্ত্র বিদ্রোহী’ বলে দাবি করা হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযোগ, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বরাবর যে সীমান্ত বাঁধ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা নির্মাণে বাধা দিচ্ছে আরাকান আর্মি। বিবৃতিতে আরাকান আর্মির হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, আরাকান আর্মির এমন মনোভাবের কারণে সীমান্ত অঞ্চলে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে। ৪ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি এক ঘোষণায় জানায়, উত্তর বুথিডংয়ে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ইউনিট (লাইট ইনফ্যান্ট্রি-৫৬৪) ঢুকে পড়ে। আরাকান আর্মির দাবি, সংঘর্ষের সময় মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সাত সদস্যকে হত্যা করেছে তারা। —ইরাবতি

সর্বশেষ খবর