বুধবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারত জুড়ে ধর্মঘট

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারত জুড়ে ধর্মঘট

ডান ও বামপন্থি শ্রমিক ও কর্মচারী সংগঠনগুলোর ডাকা ভারত জুড়ে হরতালে মিশ্র সাড়া পড়েছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের শ্রমিক বিরোধী, জন বিরোধী ও রাষ্ট্র বিরোধী নীতির প্রতিবাদে দেশ জুড়ে গতকাল এবং আজ এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। হরতালের প্রথমদিনে গতকাল ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের লাইফলাইন রেল-এ এর প্রভাব পড়ে। বৃহৎ মুম্বাই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট (বেস্ট) এর কর্মীরা ধর্মঘট পালন করায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাসসেবা। ওড়িষ্যায় স্কুল, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও অন্যদিনের তুলনায় কম ছিল। আসামের গোহাটিতেও একাধিক জায়গায় রেল ও সড়ক অবরোধে শামিল হয়েছে হরতালপন্থি সংগঠনগুলো। বামপন্থিদের ডাকা এই হরতালে বাম অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায়ও প্রভাব পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কলকাতাসহ একাধিক জেলায় সকাল থেকেই হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যায় বামপন্থি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে। রাজ্যের একাধিক রেল স্টেশনে তারের ওপর কলাপাতা ফেলে রেল অবরোধ করা হয়। সড়ক অবরোধেও শামিল হয় ধর্মঘটীরা। এর ফলে যান ও রেল চলাচল সাময়িক ব্যহত হয়। কোথাও কোথাও জোর করে অবরোধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। কিছু কিছু জায়গায় বাস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বারাসাতে সরকারি বাস ভাঙচুরের পাশাপাশি বাস চালককে মারধর করা হয়। বারাসাতেই ধর্মঘটীদের হটাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। হুগলিতেও সকাল থেকে অশান্তি ছড়ায়। যাদবপুরে হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে গিয়ে আটক হয়েছেন সুজন চক্রবর্তীসহ অনেক বাম নেতা। কলকাতার সেন্ট্রাল এভিনিউতে নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। রাজ্য জুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক হরতালকারীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিনের মতো এদিনও বেসরকারি অফিস, স্কুল, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে যাওয়ার জন্য প্রচুর সংখ্যক মানুষ ও শিক্ষার্থী রাস্তায় বেরিয়েছেন। কলকাতার মেট্রো রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিমান চলাচল স্বাভাবিক বলেই জানা গেছে। যদিও এই হরতালের বিরোধিতা করেছে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। হরতালেও রাজ্যকে সচল রাখতে সবরকম তৎপরতা চালিয়েছে তারা। গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ক্রসিংগুলিতে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ  মোতায়েন করা হয়েছে, প্রায় ২ হাজারের বেশি বাস চালু রাখার কথা বলেছে, ট্রাম ও ভেসেলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর