শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

‘সতীত্বের পরীক্ষা’ দিতে হবে না নববধূকে

‘সতীত্বের পরীক্ষা’ দিতে হবে না নববধূকে

সাদা চাদরে নববধূর ‘সতীত্বের পরীক্ষা’কে যৌন নির্যাতনেরই শামিল উল্লেখ করে প্রায় চার শতাব্দী ধরে চলে আসা মধ্যযুগীয় বর্বর প্রথার অবশেষে রাশ টানল ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার। গোটা সমাজের পক্ষে লজ্জাজনক এবং নারীর পক্ষে চূড়ান্ত অবমাননাকর এই রীতি অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। দ্য ওয়াল

রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রঞ্জিত পাতিল জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই আদিম প্রথা এখনো চলে আসছে। তার মধ্যে পুণের পিঁপরীতে কঞ্জরভাট জনগোষ্ঠীর নাম সবচেয়ে আগে আসে। অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক এই রীতির কারণেই সমাজের কাছে হেনস্তা হতে হয় নতুন বিবাহিতা স্ত্রীকে। সতীত্বের বৈধতা প্রমাণ করতে না পারলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়। এ প্রথা বন্ধের জন্য বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নানা গ্রুপ। এগিয়ে এসেছে রাজ্য মহিলা কমিশনও। তাই সরকারি নির্দেশিকা জারি করে নিষ্ঠুর এই প্রথা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের খবর, কঞ্জরভাট সমাজে প্রায় ৪০০ বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। স্বামী-স্ত্রী না চাইলেও পরীক্ষা হবেই। পঞ্চায়েত মাতব্বরদের নিদান অগ্রাহ্য করার উপায় কারওর নেই।

সর্বশেষ খবর