মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রিয়াঙ্কা মোহন রোড-শো

জনতার উচ্ছ্বাস

কলকাতা প্রতিনিধি

প্রিয়াঙ্কা মোহন রোড-শো

কেউ বলছেন ‘মনে হচ্ছে ইন্দিরা গান্ধীই ফিরে এলেন।’ কেউ বা বলছেন ‘পারলে প্রিয়াঙ্কাই পারবেন।’ সদ্য ভারতীয় রাজনীতিতে পা রাখা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রোড শো ঘিরে দলীয় কর্মী-সমর্থক ও অসংখ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে এ প্রশ্নই ঘুরপাক খেল গতকাল। লোকসভা ভোটের আগে কার্যত এদিন প্রচারণা শুরু করে দিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেই সঙ্গে নিজের জনপ্রিয়তাও নিজের চোখে পরখ করে নিলেন তিনি। এদিন দুপুরের দিকে লখনৌ বিমানবন্দরে নামেন প্রিয়াঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন ভাই ও দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেখান থেকে বাসের মাথায় চেপে রোড-শো শুরু প্রিয়াঙ্কার।

এ রোড-শো থেকে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। শোভাযাত্রার মাঝেই কর্মী-সমর্থকদের অনুরোধে তিনি খুব কম সময়ের জন্য বক্তৃতা দেন। বললেন, ‘চৌকিদার চোর। দেশের টাকা, বায়ুসেনার (বিমানবাহিনী) টাকা চুরি করেছে।’’ তাঁর সঙ্গে সঙ্গে বাস ঘিরে থাকা কর্মী-সমর্থকরা ‘চৌকিদার চোর’ বলে স্লোগান তোলেন। এরপর রাহুল বলেন, ‘দেশের হƒদয় উত্তর প্রদেশ। তাই প্রিয়াঙ্কা ও জ্যোতিরাদিত্যকে উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছি। এখানে অন্যায়ের সরকার চলছে।’ বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে কংগ্রেসের কার্যালয় নেহরু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা করেন তাঁরা। প্রিয়াঙ্কা-রাহুল-সিন্ধিয়ার পাশাপাশি রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বাব্বর, কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদসহ একাধিক নেতাকেও রোড-শোয় অংশ নেন। হালকা রঙের কুর্তা-চুড়িদার পরিহিত প্রিয়াঙ্কাকে বেশ ফুরফুরে লাগছিল। রোড-শোতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়তে শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। তাকে দেখতে পুরো রাস্তার দুই ধারেই অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছিল।

কংগ্রেসের সম্পাদক হওয়ার পর এই প্রথম প্রিয়াঙ্কার উত্তর প্রদেশ সফর। তা ছাড়া গান্ধী পরিবারের দুই কেন্দ্রের (আমেথি ও রায়বেরেলি) বাইরে এই প্রথম তাঁকে প্রচারণায় দেখা গেল। অবশ্য এদিন রোড-শো শুরু করার আগে টুইট করে সমর্থকদের কাছে পরিবর্তনের বার্তা দেন প্রিয়াঙ্কা। দলের অ্যাপের মাধ্যমে একটি অডিওবার্তায় গান্ধী পরিবারের এই সদস্য বলেন, ‘আমরা আশা করব আমাদের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটা নতুন ধারার রাজনীতি আসুক। এমন ধরনের রাজনীতির উদয় হোক যেখানে আপনাদের সবাই নিজেকে তার অংশ ভাবতে পারেন।’ লোকসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশ। এ রাজ্যে লোকসভার ৮০টি আসন। বলা হয়, এ রাজ্যটি থেকে যে দল বেশি আসন পাবে দিল্লিতে ক্ষমতা দখলের দৌড়ে তারাই এগিয়ে থাকবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপির দখলে যেখানে ৭৩টি আসন ছিল সেখানে কংগ্রেস ছিল মাত্র ২টি। অন্যদিকে বিজেপিকে হারাতে এবার হাত মিলিয়েছেন অখিলেশ-মায়াবতী। কংগ্রেসের লক্ষ্য- প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে রাজনীতিতে নামিয়ে গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি অন্য দলগুলোকেও পেছনে ফেলা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর