কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার মূলহোতা কামরান ভারতীয় সেনাদের হাতে নিহত হয়েছেন। পুলওয়ামার পিংলান গ্রামের একটি বাড়িতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর পাওয়ার পরই রবিবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছিল তল্লাশি। এ সময়ই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে সেনাবাহিনীর ওপর। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক মেজর এবং তিন সেনা জওয়ানের। বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে দুই জইশ জঙ্গিরও। এই দুই জঙ্গির মধ্যে পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী কামরানও রয়েছে। অপর এক জঙ্গির নাম হিলাল। হিলাল পুলওয়ামারই স্থানীয় বাসিন্দা। জইশের একটি ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে নিহত হয়েছের দুই স্থানীয় বাসিন্দাও। সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের আত্মঘাতী হামলার ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পিংলানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলওয়ামা হামলার পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে কোথায়, কখন, কীভাবে প্রত্যাঘাত করা হবে এমনটাও বলেছিলেন তিনি। হামলার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দাবি করা হয়েছে ‘বদলা চাই’। ইতিমধ্যেই ভারত পাকিস্তানকে কূটনৈতিক এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যেক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করা শুরু করে দিয়েছে।