মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কে জিতলেন, মোদি না ইমরান?

কে জিতলেন, মোদি না ইমরান?

সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে কার জয় হলো, সে উত্তর খুঁজছেন দুই দেশের মানুষ। কিন্তু কী বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা? হঠাৎ করেই চরম উত্তেজনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা শান্ত। গত মাসের মাঝামাঝি থেকে এই দুই দেশের মধ্যে যে অশান্তি দেখা যাচ্ছিল, তাতে অনেকেই দেখছিলেন আসন্ন যুদ্ধের ছায়া। কিন্তু বর্তমানে সেসব আলোচনা

থেমে ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় নজর কাড়ছেন নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান।

শান্তির বার্তা হিসেবে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ছেড়ে দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি   পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার জোর দাবি উঠেছে। এই দাবির পক্ষে সই করেছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ।

অন্যদিকে ভারতের আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি ও সামরিক ক্ষমতাকে ভয় পেয়েই নাকি পাইলটকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইমরান খান। এমনই যুক্তি তুলে ধরছেন ভারতে মোদির সপক্ষে থাকা মানুষেরা। কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বর্তমান ভারত-পাকিস্তান সমীকরণকে কিছুটা অন্যভাবে দেখছেন। উগ্র জাতীয়তাবাদ বনাম সন্ত্রাসবাদ : কার পক্ষে বেশি যুক্তি? ইমরান খানের বিরোধী হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক গুল বুখারি একটি টুইটে পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে জায়দি প্রশ্ন করেন ইমরানের অভ্যন্তরীণ নীতিকে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের যুদ্ধ ছাড়াও আরও

সমস্যা রয়েছে, যেমন শিক্ষা, পানি ইত্যাদি। সেগুলোর দায়িত্বও তাঁর কাঁধেই। ভুলে গেলে চলবে না।’

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ইমরান খানকে ভারতীয় পাইলটকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাহবা দিলেও দেশের ভিতর গড়ে ওঠা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাইলট ফিরিয়ে দেওয়াকে অনেকেই ভারতের জয় হিসেবে দেখলেও জইশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ না পাওয়াকে অনেকে মোদির নির্বাচনী চাল হিসেবে দেখছেন। কিন্তু তার কোনো প্রভাব পড়ছে না আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর