মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
আলজাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

বিশাল চুলায় পোড়ানো হয় খাশোগির দেহ

বিশাল চুলায় পোড়ানো হয় খাশোগির দেহ

এই চুল্লিতে পোড়ানো হয় জামাল খাশোগির মরদেহের টুকরা -আল জাজিরা

সৌদি আরবের নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ বৃহৎ আকারের চুলায় পোড়ানো হয়েছিল। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত সৌদি আরবের কনস্যুলেট জেনারেলের বাসভবনে তার মরদেহ পোড়ানো হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। সৌদির ঘাতক দলের হাতে এই সাংবাদিক হত্যার বিষয়ে রবিবার রাতে বিস্তারিত একটি অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র প্রচার করেছে আল-জাজিরা আরবি।

এতে বলা হয়, এ জন্য কনস্যুলেট ভবনের বাইরে একটি বড় চুল্লি নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে কীভাবে পোড়ানো হয় সে বিষয়টি মনিটরিং করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। সেখানে দেখা গেছে কিছু ব্যাগ। ধারণা করা হয়, কনস্যুলেট ভবনের ভিতরে জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার দেহের বিভিন্ন অংশ এসব ব্যাগে করে ওই চুল্লির কাছে নেওয়া হয়েছিল। চুল্লিটি কনস্যুলেট থেকে কয়েকশ মিটার দূরে। খাশোগির মরদেহ পোড়ানোর জন্য চুল্লি নির্মাণকাজে জড়িত তুরস্কের এক শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে আলজাজিরা। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি কনসাল থেকে দিক-নির্দেশনা পাওয়ার পর এই চুল্লি নির্মাণ করা হয়। তাকে বলা হয়েছিল, এই চুল্লি হবে অনেক গভীর, তাপমাত্রা হবে এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে- যাতে যে কোনো ধরনের ধাতব পদার্থও গলে যায়।

কর্তৃপক্ষের রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাশোগিকে হত্যার পর তার দেহের অংশবিশেষ ওভেনে দিয়েও জ্বালানো হয়। মূলত এর মধ্য দিয়ে কনস্যুলেট হত্যাকা কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

এদিকে তুর্কি তদন্তকারীরা সৌদি কনসালের দফতরের দেয়ালে রক্তের চিহ্ন পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই রক্ত খাশোগির। রাজনীতিবিদ ও খাশোগির বেশ কয়েকজন তুর্কি বন্ধুর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এ রিপোর্ট। সৌদি আরবের প্রতাপশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর   সমালোচক হিসেবে পরিচিত নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি তার তুর্কি বংশোদ্ভূত বান্ধবীকে  বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেটে যান। সেখানেই তাকে সৌদি গুপ্তচররা হত্যা করে এবং পরে মরদেহ কেটে কেটে টুকরো করে। এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবে ১১ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর