শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

মার্কিন ঘাঁটির খুব কাছে বাস ছিল মোল্লা ওমরের

মার্কিন ঘাঁটির খুব কাছে বাস ছিল মোল্লা ওমরের

তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমর। যাকে খুঁজে খুঁজে নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারাও। তাকে ধরতে বিমান হামলা থেকে শুরু করে সাঁড়াশি সেনা অভিযান এমন কিছু নেই যা যুক্তরাষ্ট্র করেনি। আর সেই মোল্লা ওমর দিনের পর দিন বসবাস করতেন আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা ঘাঁটির একেবারে পাশেই, একেবারে পায়ে হাঁটা দূরত্বে! সম্প্রতি এমন তথ্যই তুলে ধরেছেন এক নেদারল্যান্ডসের সাংবাদিক। তার নাম লেটে ড্যাম। বইয়ের নাম ‘সার্চিং ফর এন এনিমি’। এই বইয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।  নিজের বইয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তালেবান সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিতে ও গবেষণা করতে পাঁচ বছর ব্যয় করেছেন। গত ফেব্র“য়ারিতে ডাচ্ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে বইটি। কিছুদিনের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় বাজারে আসবে এটি।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের প্রধান পদে থাকা ওমরের এই দীর্ঘ অজ্ঞাতবাসে তাকে নিয়ে জল্পনা কম হয়নি। তিনি বেঁচে আছেন কি না,  সে প্রশ্নও উঠেছে বার বার। ২০১৩-র এপ্রিলে করাচির হাসপাতালে ওমরের মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করেছিল আফগানিস্তান সরকার। কিন্তু এই দাবি ছিল পুরো ভুয়া। লেখক ড্যাম ওমরের দেহরক্ষী জাব্বার ওমারির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মোল্লা ওমর। সে সময় থেকে তালেবান নেতার দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন জাব্বার ওমারি। নেতাকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ওমারি। ওই গ্রন্থে বলা হয়, ওমর প্রতিদিন বিকালে বিবিসির পশতু ভাষার খবর ও বিবিসি শুনতেন। তবে তিনি আল-কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু   সংবাদ শুনে ও বাইরের জগতের বিষয়ে খুব কম মন্তব্য করতেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত রুশদের সঙ্গে লড়াই করার সময়ে একটা চোখ হারান ওমর। একটা হাতের কব্জি উড়ে যাওয়ার পর সেখানে বসে লোহার রড। ওমরের শরীরের এই বিশেষ দুটি চিহ্ন উল্লেখ করে আমেরিকা তার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১ কোটি ডলার। জাবুল প্রদেশের কালাতের একটা ছোট্ট বাড়িতে থাকতেন ওমর। সে বাড়িতে অতিথি হয়ে থাকতেন ওমর। সেই বাড়ির সদস্যরাও রহস্যময় অতিথির নাম জানতেন না। কিন্তু একই এলাকা দিয়ে বারবার মার্কিন সেনাবাহিনী টহলদারি চালালেও ওমরের অস্তিত্ব তাদের কাছে ছিল একেবারেই অজানা। একবার মার্কিন বাহিনী ওই বাড়িতে কে আছে জিজ্ঞাসাও করেছেন, কিন্তু ওইটুকুই। ড্যাম জানিয়েছেন, ওমরের দেহরক্ষী তাকে বলেন, ওমরের সঙ্গে খুব কমই কথা বলতেন তিনি। জাব্বার ওমারি জানান, আত্মগোপনে থাকার এই সময় মোল্লা ওমরের পক্ষে তালেবান গোষ্ঠীকে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে তালেবান জঙ্গিরা সে সময় দাবি করতেন, তারা মোল্লা ওমরের নির্দেশে কাজ করছেন। এএফপি, বিবিসি

সর্বশেষ খবর