বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স এইটএস মডেলের বিমান বাজারে এসেছে খুব বেশিদিন হয়নি। কিন্তু ছয় মাসের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় দুটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। যাতে প্রায় মৃত্যু হয় ৩৪৬ জনের। ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, মডেলে ত্র“টির কারণে বিমান দুটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বিমান দুটির দুর্ঘটনার কারণ প্রায় একই রকম। বোয়িং কোম্পানির নির্দিষ্ট মডেলটির মধ্যে নানা ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ফ্রান্সে ইথিওপিয়ার বিমানটির ব্ল্যাক বক্স বিশ্লেষণের কাজের শুরুতেই বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে আরও তথ্য পাওয়ার আশা করছে ইথিওপীয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। স্বল্প সময়ে একই মডেলের দুটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ফলে বিশ্বজুড়ে একের পর এক দেশ একে একে সেই মডেলের উড়াল বন্ধ করে দেয়। বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে কোনো একটি বিমানের মডেলকে ঘিরে এই মাত্রার অনিশ্চয়তা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। গত বছরের অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার সংস্থার একটি বিমান রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে ১৮৯ জন নিহত হন। এরপর ১০ মার্চ ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিমানও প্রায় একই রকমভাবে বিধ্বস্ত হলে ১৫৭ জন আরোহীর মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রেও ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে।
তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি। তবে বোয়িং কোম্পানির এই মডেলের মধ্যে বেশ কিছু মারাত্মক ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে সিয়াটেল টাইমস সংবাদপত্র। ফেডারেল বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ওয়াশিংটনের এক আদালতের গ্র্যান্ড জুরি এই বিমান তৈরির সঙ্গে যুক্ত কমপক্ষে একজন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বোয়িং কোম্পানি এই মডেলের বিমানগুলোতে সফটওয়্যার আপগ্রেড এবং বিমানচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চেয়েছে। কিন্তু মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিমানের ডিজাইনে পরিবর্তনের নির্দেশ দেবে বলে ইঙ্গিত করেছে। ডয়েচে ভেলে।