বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাখাইন শীর্ষ নেতার ২০ বছরের জেল

রাখাইন শীর্ষ নেতার ২০ বছরের জেল

রোহিঙ্গা মুসলিমবিরোধী কট্টরপন্থী রাখাইন নেতা আয়ি মাউংকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২০ বছরের জেল দিয়েছে মিয়ানমারের একটি আদালত। তিনি আরাকান ন্যাশনাল পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে গতকাল এ রায় দেওয়া হয়। তবে আয়ি মাউংয়ের বিরুদ্ধে দেওয়া এ রায়ে জাতিগত রাখাইন ও সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর লড়াই আরও তীব্র হবে। এদিন আরও একজন রাখাইন বৌদ্ধকে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন লেখক। দুজনের বিরুদ্ধেই একই অভিযোগ। এ বছর আরাকান ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নতুন করে দাঙ্গা হয়। তার আগে জানুয়ারিতে আয়ি মাউং বক্তব্যে মানহানিকর কথাবার্তা বলেছেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ওই সময় রাষ্ট্র সমর্থিত মিডিয়ায় বলা হয়, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন। জাতিগত রাখাইনদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার দাসের মতো আচরণ করছে বলে তিনি র‌্যালিতে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ওই সময়কে জাতিগত রাখাইনদের সশস্ত্র লড়াইয়ের উপযুক্ত সময় বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। এর পরের রাতেই রাখাইন বিক্ষোভকারীরা একটি সরকারি ভবন দখলে নেয়। পুলিশ সেখানে গুলি চালায়। এতে নিহত হন ৭ জন।

ওই একই র‌্যালিতে বক্তব্য রেখেছিলেন আয়ি মাউং ও লেখক ওয়াই হিন অং। কয়েক দিন পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আয়ি নু সেইন বলেছেন, এ দুজনের প্রত্যেককে ২০ বছর করে জেল দেওয়া হয়েছে। তবে তারা আপিল করবেন কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশটিতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি মৃত্যুদ  পর্যন্ত হতে পারে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যটি সহিংসতা ও ঘৃণাপ্রসূত বিদ্বেষের কারণে পুরো দেশ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন। ২০১৭ সালে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস নির্যাতন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এতে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এই রাজ্যে বসবাসকারী রাখাইন বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীও নিজেদের একপেশে করে রাখা হয়েছে বলে মনে করে। তাই তারা অধিক শায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। অভিযোগ আছে, এ জনগোষ্ঠীর কোনো কোনো মহল রোহিঙ্গাবিরোধী নিধনযজ্ঞে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে।

সর্বশেষ খবর