দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাশিয়ার সাবেক এক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশটির ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দ্য স্টেইটস টাইমস জানায়, সাবেক ওই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর পরই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। তাকে মস্কোর একটি জেলে আটক রাখা হয়েছে। বুলগাকভকে এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি ছাড়াও এর আগে দেশটির সামরিক শাখায় দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে তিনিই সর্বশেষ বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থাটি। রাশিয়ার সামরিক শাখায় অনিয়ম ঠেকাতে এর আগে গত মে মাসে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সের্গেই শোইগুকে অপসারণ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর সেই পদে দায়িত্ব পান আন্দ্রেই বেলোসভ। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তার সামরিক কোনো জ্ঞান নেই বললেই চলে। তবে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর রুশ সেনাবাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দেন। ধারণা করা হয় সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ অর্থকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য আন্দ্রেই বেলোসভকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন পুতিন। এ ছাড়া গত দুই বছর ধরে রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনীকে দুর্নীতিমুক্ত করাটাও বেশ জরুরি হয়ে পড়েছে। যা বাস্তবায়ন করতেই কাজ করছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
গত ২৩ এপ্রিল রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দেশটির উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত। শোইগুকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমেই সামরিক শাখায় দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন আন্দ্রেই বেলোসভ। শোইগুকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত গত আড়াই মাসে অন্তত পাঁচ সামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে অন্য যে সব খাতে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছিল আপাতত সেদিকে নজরদারি কমিয়েছে ক্রেমলিন। তারা বর্তমানে সামরিক বাহিনীর দুর্নীতি ঠেকাতে বেশ তৎপরতা শুরু করেছে।