যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় নির্ধারণী সাতটি অঙ্গরাজ্যে পরিচালিত সর্বশেষ জনমত জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের ব্যবধান কমিয়ে ১%-এ এগিয়েছেন কমলা হ্যারিস। শুধু তাই নয়, রবিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে কমলার নির্বাচনি তহবিলে চাঁদা এসেছে ২০০ মিলিয়ন ডলার। এর সিংহভাগ অর্থাৎ ৬৬% এসেছে এবারের নির্বাচন উপলক্ষে নতুন ভোটারের কাছ থেকে; যেমন সাড়া পড়েছিল ২০০৮ সালে বারাক ওবামার ক্ষেত্রে। অর্থাৎ প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই ডেমোক্র্যাট শিবিরে স্বস্তির পরিবেশ তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন কমলা হ্যারিস। আরিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন অর্থাৎ সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত (এসব রাজ্যে ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন সে স্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণে দোদুল্যমান অবস্থায়) এ সাত অঙ্গরাজ্যে ২৪ থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে ব্লুমবার্গ নিউজ ও মর্নিং কনসালট্যান্ট পরিচালিত জরিপে এ মুহূর্তে যদি ভোট হয় তাহলে ৪৮% ভোটার বলেছেন, কমলাকে ভোট দেবেন। ৪৭% বলেছেন ট্রাম্পের কথা। একই জরিপে আরিজোনা স্টেটে কমলা ৪৯% এবং ট্রাম্প ৪৭% ভোট পাবেন বলে জানা গেছে। ভোটের এ ব্যবধান ট্রাম্পের চেয়ে কমলার বেশি হবে মিশিগানে ৯%, নেভাদায় ২%, উইসকনসিনে ২%। তবে পেনসিলভানিয়ায় কমলার চেয়ে ৪% বেশি পাবেন ট্রাম্প আর এ হার হচ্ছে ৫০% ট্রাম্প এবং কমলা ৪৬%। গত নির্বাচনে জর্জিয়ায় বিজয় পেয়েছেন বাইডেন। এ জরিপে কমলা এবং ট্রাম্প উভয়েই সমান ৪৭% ভোট পাবেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচন থেকে বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলা মাঠে নামলে সারা আমেরিকায় সিদ্ধান্তহীন অনেক ভোটারই কমলার প্রতি ঝুঁকেছেন। সর্বত্র ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। জনমত জরিপের পাশাপাশি কমলার নির্বাচনি প্রচার তহবিলও বেড়েছে অপ্রত্যাশিতভাবে।
জর্জিয়ার আটলান্টায় কমলা হ্যারিসের নির্বাচনি সমাবেশ ছিল মঙ্গলবার। বিশাল শোডাউন করেছেন তিনি।