নাম পেতংতার্ন। বয়স মাত্র ৩৭ বছর। এক সময় তার বাবা ছিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তিনি থাকসিন সিনাওয়াত্রা। পেতংতার্নের ফুফুও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এবার এ বয়সেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন পেতংতার্ন। গতকাল দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে পড়েছে ৩১৯ এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৪৫ ভোট।
কয়েক দশক ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে রাজত্ব করছে সিনাওয়াত্রা পরিবার। পেতংতার্নের বাবা থাকসিন শিনাওয়াত্রা একজন থাই ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত রয়্যাল থাই পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে দুর্নীতির দায়ে তিনি দেশ থেকে বিতারিত হন। এরপর তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিউ থাই পার্টি থেকে বিজয়ী হয়ে ২৮তম প্রধানমন্ত্রী নিবার্চিত হন। ইংলাক ছিলেন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ফুপুর পর পেতংতার্ন হলেন থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
দেশটিতে দুই দিন আগেই নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে সেথ্রা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেয় দেশটির আদালত। সে সঙ্গে তার মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ারও রায় দেন আদালত। এর পরই সামনে আসে পেতংতার্নের নাম। পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফেউ থাই পার্টির নেতা। তবে নির্বাচিত এমপি নন। সেথ্রা থাভিসিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ফেউ থাই পার্টির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তার নাম অনুমোদন করা হয়।
থাইল্যান্ডের অভিজাত স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল গ্রুপে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই গ্রুপের উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত। পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দলনেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।