দিল্লিতে ১১ দিনের কর্মবিরতির পর কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। মূলত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আবার কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাই মেনে নিয়েছেন দিল্লির চিকিৎসকরা। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ দিয়েছেন দেশজুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারকে প্রচুর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতিরা। বিচারপতি পারদিওয়ালা জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড অনুসরণ করছে না। আমি ৩০ বছরে এরকম মামলা দেখিনি।’ বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, ‘আমার অবাক লাগছে এটা দেখে, ময়নাতদন্তের আগে কী করে বলে দেওয়া হলো অস্বাভাবিক মৃত্যু? এটা কী করে সম্ভব? তা হলে ময়নাতদন্তের কী প্রয়োজন ছিল?’
এরপর রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবাল তার ব্যাখ্যা দেন। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে ময়নাতদন্তের পরও অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হয় কী করে? তখন তো কারণ পুলিশ জেনেই গেছে।’
বিচারপতি জানতে চান, ‘৯ আগস্ট টালা থানায় রাত সাড়ে ১১টায় ইউডি কেস ৮৬১ দায়ের করা হয়। আর এফআইআর দায়ের হয় রাত ১১.৪৫ মিনিটে। এটা কি ঠিক?’ আইনজীবী সিবাল বলেন, ‘ইউডি মামলা হয় দুপুর একটা ৪৫ মিনিটে। সলিসিটার তার বিরোধিতা করেন। বিচারপতি তখন পুলিশের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চান।
সবকিছু বদলানো হয়েছে : সিবিআই
সিবিআইয়ের পক্ষে সওয়াল করার সময় সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ঘটনা ঘটার পাঁচ দিন পরে সিবিআই তদন্তের ভার হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে সবকিছু বদলে ফেলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘কলকাতা পুলিশ ডেইলি ডায়েরিতে এন্ট্রি করেছে সকাল ১০টা বেজে ১০ মিনিটে। আর ঘটনাস্থল সুরক্ষিত করা হয়েছে গভীর রাতে। এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা।’ বিচারপতিরাও বলেছেন, ‘রাতে অপরাধ হয়েছে। আর অপরাধের জায়গা সুরক্ষিত করা হয়েছে ১৮ ঘণ্টা পরে।’ তুষার মেহতা জানিয়েছেন, ‘আরজি করের সাবেক প্রিন্সিপালকে অনেকগুলো আর্থিক অনিয়ম নিয়ে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সাত দিন ধরে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন খুলে দিয়েছে প্যান্ডোরার বাক্স। অভিযোগ উঠছে সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সিবিআই ছয় দিনে ৭৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সন্দীপকে। গতকাল ফের তলব পেয়ে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সন্দেহভাজন সাবেক অধ্যক্ষ অন্যান্য অভিযোগেও বিদ্ধ হচ্ছেন।