ইতালির সিসিলি দ্বীপের উপকূলে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী (ইয়ট) ডুবে যারা নিখোঁজ হয়েছিলেন, তাদের কয়েকজনের লাশের মধ্যে মিলল ব্রিটিশ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের মাইক লিঞ্চের লাশ। ঝড়ের মুখে পড়ে গত সোমবার বায়েসিয়ান নামে ইয়টটি ডুবে যাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে একজনের মৃত্যু এবং ছয়জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার প্রমোদতরীটির ধ্বংসাবশেষ থেকে চার লাশ উদ্ধার হয় এবং পঞ্চম আরেকটি লাশ খুঁজে পাওয়া যায় তরীর ভিতরে। সেটিই মাইক লিঞ্চের লাশ বলে জানানো হচ্ছে ইতালির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে। লাশটি গতকাল সকালে তীরে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্য দিয়ে নিখোঁজ পাঁচজনের লাশ মিললেও লিঞ্চের ১৮ বছর বয়সি মেয়ে হান্নার খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
পানির নিচে ৫০ মিটার গভীরে প্রমোদতরীটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনী। ডুবুরিরা এখনো নিখোঁজদের সন্ধান করছে। ২২ জন যাত্রী ও ক্রু বহনকারী ৫৬ মিটার দীর্ঘ (১৮৪ ফুট) সুপার ইয়ট বায়েসিয়ান পালেরমোর কাছে পোর্টিসেলো বন্দরে নোঙর করা হয়েছিল। ঝড় শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঢেউয়ের কবলে পড়ে সেটি অদৃশ্য হয়ে যায়। মাইক লিঞ্চ সফটওয়্যার কোম্পানি অটোনমির সহপ্রতিষ্ঠা ছিলেন। যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর একটি হয়ে উঠেছিল এ কোম্পানি। লিঞ্চ ও তার মেয়ে হান্না ছাড়াও জুডি এবং মরগান স্ট্যানলি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা জোনাথন ব্লুমার, ক্লিফোর্ড চান্সের আইনজীবী ক্রিস মরভিলো ও তার স্ত্রী নেদা মরভিলো নিখোঁজ হয়েছিলেন। তবে ভাগ্যক্রমে লিঞ্চের স্ত্রীসহ তরীতে থাকা ১৫ জন নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।