বাসভর্তি ছোট ছোট শিক্ষার্থী। হইহুল্লোড় করে সবাই শিক্ষা সফরে যাচ্ছিল। আচমকাই থেমে গেছে সেই কোলাহল। মাঝপথেই চলন্ত বাসে ভয়ংকর আগুন। নিভে গেছে ২৩টি কচি প্রাণ। ঘটনার সময় ৪৪ শিক্ষার্থী ও তাদের শিক্ষক ছিল বাসে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে থাইল্যান্ডে।
পুলিশ জানায়, গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। চলন্ত অবস্থাতেই বাসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছু করে উঠার আগেই আগুনের গ্রাসে চলে যায় সেই বাস।
এ ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনাটি থাইল্যান্ডের খু খোটের জির রঙ্গসিট শপিং সেন্টারের কাছে ফাহন ইয়োথিন রোডে। রাজধানী ব্যাংকক থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে উথাই থানি প্রদেশ থেকে বেরিয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিল। তার দর্শনীয় সফরে আয়ুথায়ার দিকে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। পড়ুয়ারা ছিল কিন্ডার গার্টেনের ১৩-১৪ বছর বয়সি।
বাসটি প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে চলত। এ গ্যাসকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যাত্রীবাহী যানবাহনের জন্য এ ধরনের জ্বালানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, একজন মা হিসেবে আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন, নিহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় ও ক্ষতি পূরণের দায়িত্ব নেবে সরকার। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পিয়ালাক থিঙ্কিয়ু বলেন, নিহতদের দেহ এত বেশি পুড়ে গেছে যে, তাদের শনাক্ত করা কঠিন। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাসের সামনের দিক থেকে আগুনের সূত্রপাত।