দুর্নীতিবাজ ও নিষ্ঠুর হিসেবে যথেষ্ট কুখ্যাতি আছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। আর এ কারণে প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েলজুড়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ আর প্রশাসনিক বিবাদে চাপের মুখে সব সময়ই থাকে নেতানিয়াহু। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নিজেকে নিজ দেশে প্রাসঙ্গিক দেখাতে গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মাটিতে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এর পর থেকেই গাজায় হত্যাযজ্ঞের মিশনে নেমেছেন নেতানিয়াহু। এ হামলার প্রতিবাদ করায় লেবাননেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা।
তবে যুদ্ধের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর অহংকার আরও বেড়েছে নেতানিয়াহুর। তিনি যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে দেশের সেনাবাহিনীকে উজ্জীবিত করে তিনি বার্তা দিলেন, ‘আমরাই জিতব। গাজাতে জিতব, লেবাননে জিতব। ইরানেও হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ অন্যদিকে, এ দিনকে আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করতে দেখা গেছে হামাসকে। ৭ অক্টোবরের হামলাকে গর্বের দিন বলে উল্লেখ করে হামাস জানিয়েছে, এ দিনটি ফিলিস্তিনির নিরাপত্তায় এক ঐতিহাসিক দিন। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, অকিঞ্চিৎকর সামরিক শক্তি হামাসের বিরুদ্ধে এক বছর ধরে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে কতটা সাফল্য পেয়েছে পরমাণু ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ইসরায়েল। গত ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর এ অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন আয়রর সোর্ড’। এক বছর আগে হামাসের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া যুদ্ধ এখন শুধু গাজায় সীমাবদ্ধ নেই। লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি সশস্ত্র গোষ্ঠীর পাশাপাশি ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে ইরানের মতো দেশ। ইরান সেনার বিশেষ বাহিনী ‘রেভোলি উশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’ ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নিজেদের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে।
ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিজবুল্লাহর : হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর নগরী হাইফাতে কারমেল ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তাইবেরিয়াসের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত নিমরা ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হিজবুল্লাহর এসব হামলায় কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে।