আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের চতুর্থ ছেলে ওমর বিন লাদেনকে ফ্রান্স থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। সোমবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেটেইলেউ বলেছেন, ফ্রান্স থেকে ওমর বিন লাদেনকে নিষিদ্ধ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এর আগে তাকে নির্বাসিত করা হয়। তবে নির্বাসিত করার পর ওমর বিন লাদেনকে কোথায় পাঠানো হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি। রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের নর্মান্ডি গ্রামের ল্যান্ডস্কেপ আঁকার জন্য ২০১৬ সাল থেকে ওখানেই বসবাস করছিলেন ওমর বিন লাদেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ৪৩ বছর বয়সি ওমর ছবি আঁকায় নিজের দক্ষতা বাড়াতেই সেখানে বসবাস করছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রেটেইলেউ বলেছেন, এক ব্রিটিশ নাগরিকের স্বামী হিসেবে অরন অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন ওমর। ২০২৩ সালে তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সন্ত্রাসবাদের প্রশংসা করে মন্তব্য পোস্ট করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রশাসনিক আদেশ অনুযায়ী, ওমর বিন লাদেন আর কোনোভাবেই ফ্রান্সে ফিরে আসতে পারবেন না।
ওমর বিন লাদেন তার চেয়ে অন্তত ২০ বছরের বড় ব্রিটিশ নারী জেন ফেলিক্স ব্রাউনিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর জেন তার নাম পাল্টে মুসলিম নাম জেইনা মোহাম্মেদ নেন। এরপর তারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে চাইলেও দেশটি তাদের আবেদন বাতিল করে দেয়। স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা লে পাবলিকেটর লিব্রে অনুসারে, পিতার জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের কারণে ফরাসি কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন ওমর। ২০১১ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন।