যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের বিপজ্জনক অপরাধী হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন। অভিবাসীদের মধ্যে যারা মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করেছে তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার কলরাডো অঙ্গরাজ্যের অরোরায় এক নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে অভিবাসনবিরোধী সুর তত চড়া করছেন তিনি।
রয়টার্স জানায়, ভেনেজুয়েলান অপরাধী দল ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ অভিযুক্ত সদস্যদের পোস্টারে সজ্জিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে এই অপরাধী দলের সদস্যদের আটক করার জন্য ‘অপারেশন অরোরা’ নাম দিয়ে একটি অভিযান শুরু করবেন। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনের আগে শেষ সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প তার অভিবাসনবিরোধী বাগাড়ম্বর লক্ষ্যণীয়ভাবে কঠোর করে তুলছেন। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করার লক্ষ্যে তুমুল প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। এ নির্বাচনের মার্কিন ভোটারদের একটি শীর্ষ উদ্বেগের বিষয় হলো ‘অবৈধ অভিবাসী’। মতামত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, এ সমস্যা সমাধানে ট্রাম্পকেই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেন অধিকাংশ ভোটার। জনসভায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখান থেকে একজন আমেরিকান নাগরিক অথবা আইন প্রয়োগকারী কোনো কর্মকর্তার হত্যাকারী যে কোনো অভিবাসীর জন্য মৃত্যুদন্ডের আহ্বান জানাচ্ছি।’ সেখানে উপস্থিত ট্রাম্পের বহু সমর্থক সমস্বরে চিৎকার করে তার এ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। ট্রাম্প ইতোমধ্যে নারী ও শিশুদের যৌন উদ্দেশ্যে পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্তদেরসহ অন্যান্য অপরাধীদের মৃত্যুদন্ডের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ফেডারেল পর্যায়ে মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকলেও তার ব্যবহার বিরল। ট্রাম্পের আহ্বান অনুযায়ী মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধের আওতা বাড়াতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের মাধ্যমে একটি নতুন আইন প্রবর্তন করতে হবে।