৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:৪৪

তাবলিগ জামাতের দাওয়াতি কার্যক্রম

মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ আলী

তাবলিগ জামাতের দাওয়াতি কার্যক্রম

আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এতে দেশের ৩২টি জেলার তাবলিগ জামাতের মুসল্লি অংশ নেবেন। প্রথম পর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মুসল্লিসহ ২০ লাখেরও বেশি মুসল্লি যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও লাখ লাখ মানুষের এ সমাবেশ হবে সুশৃঙ্খল। তাবলিগ জামাতের সদস্যরা নিজেরাই রান্না করবেন। বিশ্ব ইজতেমার পুরোটা সময় তারা কাটাবেন আল্লাহর ইবাদতে। তাবলিগের মুরব্বিদের কাছ থেকে তারা আল্লাহর পথে কীভাবে চলবেন সে প্রশিক্ষণ নেবেন। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত শুধু নয়, মানবসেবার দীক্ষা পাবেন তাদের কাছ থেকে। পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র জীবনযাপনের সবকও নেবেন তারা। আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলের পথ আঁকড়ে ধরার জন্য তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন। তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর দীন প্রতিষ্ঠার যে দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন তা আজ বিশ্বজুড়ে মুমিনদের মহাআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আল্লাহর প্রতি নিরঙ্কুশ আনুগত্যের মাধ্যমে নিজের জান-মালকে মহান স্রষ্টার প্রতি উৎসর্গ করার তাগিদ সৃষ্টি করেছে তাবলিগ জামাতের শিক্ষা। সুরা আস সাফের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহপ্রেমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইরশাদ করা হয়েছে : ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের এমন একটি ব্যবসার সন্ধান কি দান করব যা তোমাদের কঠোর আজাব থেকে রক্ষা করবে? তা হলো আল্লাহর ওপর এবং তার রসুলের ওপর ঈমান আনবে, আল্লাহর রাস্তায় জান-মাল দিয়ে মেহনত করবে।’ বস্তুত তাবলিগ জামাতের নিবেদিতপ্রাণ আল্লাহপ্রেমিকরা সুরা আস সাফের নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর পথে মেহনত করাকে নিজেদের কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। একটি হানাহানি ও পঙ্কিলতামুক্ত শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় তারা একে অন্যের প্রতি মহব্বতের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আল্লাহ ও রসুলের নির্দেশিত পথ আঁকড়ে ধরতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছেন। বস্তুগত স্বার্থ ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেদের সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছেন তারা। আজ বিশ্বজুড়েই যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

 

লেখক : ইসলামী গবেষক


বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

সর্বশেষ খবর