ইসলামে দাবা খেলাকে হারাম বলে ঘোষণা করেছেন বলে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ বিন-আব্দুল্লাহ আল-শেখ। তিনি বলেন, ‘দাবা খেলা সময় নষ্ট ও অর্থের অপচয় হয়। তাছাড়া এটা মানুষের মাঝে শত্রুতা ও ঘৃণার সৃষ্টি করে।’
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দর্শকদের দৈনন্দিন ধর্মীয় বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই ফতোয়া দেন। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও গার্ডিয়ানের।
গ্র্যান্ড মুফতি দাবা খেলাকে ইসলামপূর্ব আরবের খেলা ‘মাইসির’ এর সাথে তুলনা করেন যা কোরআন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
তার এই ফতোয়ার মাধ্যমে অবশ্য সৌদি আরবে আইনত খেলাটি নিষিদ্ধ হবে না। তবে এই ঘটনা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এদিকে, সৌদি দাবা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুসা বিন থাইলি ইন্ডিপেন্ডেন্টকে জানান, মক্কায় শুক্রবার দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘অনেক কিছুই অবৈধ এবং ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয় সৌদি আরবে।’
তিনি আরও বলেন, বাধা না আসা পর্যন্ত সৌদি দাবা অ্যাসোসিয়েশন খেলাটি জনপ্রিয় করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর ইরানে জনসম্মুখে দাবা খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তখন দাবাকে জুয়ার সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছিল, এটা হারাম। তবে ১৯৮৮ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রাহল্লা খোমেয়েনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। এ সময় তিনি বলেন, এটা ততদিন জায়েস ছিল যতদিন এটা জুয়ার অর্থ বহন করেনি। বর্তমানে ইরানে দাবা খেলার প্রচলন রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেন।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব