২৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:৪৯

নামাজ রোজা জাকাত আদায়কারীরা জান্নাতে ঠাঁই পাবেন

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

নামাজ রোজা জাকাত আদায়কারীরা জান্নাতে ঠাঁই পাবেন

বেশি আমল না করেও জান্নাতি হওয়া যায়। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা, রোজা পালন এবং জাকাত আদায় করা জান্নাতে যাওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি বলে বিবেচিত হবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রসুল (স.) এর দরবারে একজন বেদুইন আগমন করে বলল, (হে আল্লাহর রসুল!) আমাকে এমন কাজের দিকে পথপ্রদর্শন করুন যা করলে আমি বেহেশতে প্রবেশ করতে পারব। রসুল (স.) বললেন, আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, ফরজ সালাতসমূহ প্রতিষ্ঠা করবে, নির্ধারিত হারে জাকাত প্রদান করবে এবং রমজানের রোজা রাখবে। অতঃপর বেদুইন লোকটি বলল, সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার জীবন! আমি এর বেশি কিছু করব না এবং এর কমও করব না। এরপর যখন লোকটি চলে গেল তখন রসুল (স.) বললেন, যে ব্যক্তি কোনো জান্নাতি লোক দেখে খুশি হতে চায়, সে যেন লোকটিকে দেখে। (মুসলিম)

জান্নাতে যেতে হলে অবশ্যই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এই কালেমাকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে। হজরত ওসমান (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র ঘোষণা দেয় এবং এরই উপর মৃত্যুবরণ করে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম )

কালিমায়ে তাইয়্যেবাকে জান্নাতের চাবি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে রসুল (স.)-এর হাদিসে। হজরত মু’য়ায ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আল্লাহর রসুল (স.) বলেছেন, জান্নাতের চাবি হলো এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রতিপালক নেই। (আহমাদ, মিশকাত)।

আরেক হাদিসে কালিমায়ে তাইয়্যেবার সাক্ষ্য প্রদানকারীদের জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। হজরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসুলকে (স.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রসুল। তার জন্য আল্লাহ জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিয়েছেন। (মুসলিম)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জান্নাতি হওয়ার তওফিক দান করুন—আমিন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব

সর্বশেষ খবর