১১ মার্চ, ২০১৬ ১৩:০৭

রসুলের প্রতি ভালোবাসা

মাওলানা মুহম্মাদ জিয়াউদ্দিন

রসুলের প্রতি ভালোবাসা

মুমিন হতে হলে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসতে হবে। সাধারণভাবে ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়; বরং সবকিছু থেকে এমনকি নিজের জীবনের চেয়ে তাকে বেশি ভালোবাসতে হবে। আর যে ব্যক্তি কাউকে ভালোবাসে সে তাকে এবং তার মতামতকে সব কিছুর ওপর প্রাধান্য দেয়। অতএব রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসায় সত্যবাদী সেই ব্যক্তি, যার মধ্যে নিম্নলিখিত আলামতগুলো প্রকাশ্যে দেখা যাবে : সে কথায়-কাজে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তার আদেশ মেনে চলবে, নিষেধ থেকে বেঁচে থাকবে, তার শিখানো আদব-শিষ্টাচারের ওপর নিজের জীবনকে পরিচালনা করবে। সুখে-দুঃখে এবং পছন্দ-অপছন্দ সব অবস্থাতেই তাকেই আদর্শরূপে গ্রহণ করবে। কেননা অনুসরণ ও অনুকরণ হচ্ছে ভালোবাসার বাহ্যিক ফলাফল। আনুগত্য ছাড়া ভালোবাসা সত্যে পরিণত হয় না। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসায় বেশি বেশি তার নাম উল্লেখ করা ও তার নামে দরুদ পড়তে হবে। তার সঙ্গে সাক্ষাতের আকাঙ্ক্ষা রাখতে হবে কারণ প্রত্যেক প্রেমিক প্রিয়তমের সাক্ষাতের জন্য উদগ্রীব থাকে। তার আলোচনা করার সময় তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধাভরে উল্লেখ করা। ইসহাক (রহ.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর সাহাবিরা তার কথা আলোচনা করার সময় বিনীত হতেন, তাদের শরীর শিউরে উঠত এবং তারা কাঁদতেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকে ঘৃণা করেন তাকে ঘৃণা করা। যার সঙ্গে শত্রুতা রেখেছেন তার সঙ্গে শত্রুতা রাখা। যেসব মুনাফেক ও বেদাতি তার সুন্নতের বিরোধিতা করে এবং তার দীনের মধ্যে বিদাত সৃষ্টি করে, তাদের থেকে দূরে থাকা ও সাবধান থাকা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকে ভালোবাসেন তাকে ভালোবাসা। তার পরিবারবর্গ, তার স্ত্রী এবং মুহাজের ও আনসার সাহাবায়ে কেরাম অন্যতম। এদের সঙ্গে যারা শত্রুতা পোষণ করেন তাদের শত্রু ভাবা এবং যারা তাদের ঘৃণা করে তাদের ঘৃণা করা আবশ্যক। তার সম্মানিত চরিত্রে নিজ চরিত্রকে সুসজ্জিত করতে সচেষ্ট হওয়া : কেননা তিনি ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। এমনকি আয়েশা (রা.) তার সম্পর্কে বলেন, ‘তার চরিত্র হচ্ছে আল কোরআন।’ অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশের বাইরে তিনি কোনো কিছুই করবেন না এটা ছিল তার নীতি।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর