৪ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:০৬

রসুল (সা.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের উদাহরণ

মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী

রসুল (সা.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের উদাহরণ

মানব জাতিকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ যুগে যুগে প্রেরিত পুরুষ বা নবী পাঠিয়েছেন। এক বা দুই লাখ ২৪ হাজার নবী রসুল এসেছেন পৃথিবীতে। হজরত মুসা (আ.), হজরত ইসা (আ.)-এর মতো হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ বা রসুল।  তিনি শেষ নবী, সেরা নবী। মানব জাতির জন্য তার আবির্ভাব হয়েছে আলোকবর্তিকা হিসেবে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে নিজেই রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই রসুলের পবিত্র জীবনে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে।’ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও বলেছেন, ‘আমি উত্তম চরিত্রের সৌন্দর্য পূর্ণ করার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ সব নবী যেহেতু আল্লাহর প্রেরিত সেহেতু তাদের কারোর অবমাননা করা, আল্লাহর কর্তৃত্বকে অস্বীকার করার শামিল। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতরা সব নবীর ওপর যে কারণে শ্রদ্ধাশীল। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগে যেসব নবী বা রসুল আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত হয়েছেন তারা এসেছেন বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের পথপ্রদর্শক হিসেবে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ বিশেষ কোনো জাতি বা দেশের জন্য প্রেরণ করেননি। তার আবির্ভাব হয়েছে সমগ্র মানব জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু সব মানব জাতির জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সেহেতু তাকে শুধু মুসলমানদের নবী বলার অবকাশ নেই।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন রবিউল আউয়াল মাসে। তার জন্মলাভের কারণে এই মাস আলাদা মর্যাদা লাভ করেছে। কারণ রসুলের জন্ম না হলে তার ওপর কোরআন নাজিল হতো না। আমরা নিজেদের তার উম্মত হিসেবে দাবি করতে পারতাম না। নবুওয়াতের পর থেকে ওফাত পর্যন্ত যাপিত জীবনে তিনি যে আদর্শ রেখে গেছেন তা মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়। রবিউল আউয়াল মাসে আমরা মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনাদর্শ বেশি বেশি করে স্মরণ করব। নিজেদের মাঝে তার আদর্শকে ধারণ করার চেষ্টা করব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সে তওফিক দান করুন।

 

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর