১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১২:৫৫

চট্টগ্রামের ৩০ গ্রামে আজ ঈদ

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের ৩০ গ্রামে আজ ঈদ

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামে কিছু মানুষ সোমবার (১২সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।  সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন।

নির্দিষ্ট মতবাদের অনুসারী এসব গ্রামের বাসিন্দারা সকালে নিজ নিজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর গ্রামে গ্রামে প্রাণী জবাই করে পালন করা হচ্ছে ঈদুল আজহা।

প্রচলিত নিয়মের আগে ঈদ উদযাপনকারীদের অধিকাংশই দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা।

সোমবার সকাল ১০টায় মির্জারখীল দরবার শরীফে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন হাজারো মুসল্লি। দরবার শরীফের পীর হয়রত মওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাইয়ের বড় ছেলে মুফতি মওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন।

মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারাল, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখের খীল, ডোংরা, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান, ফটিকছড়ির কিছু এলাকাসহ চট্টগ্রামের মোট ত্রিশটি গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ সোমবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

এছাড়াও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও হ্নীলা বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু লোক একই সময়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

প্রায় দুশ বছর আগে তৎকালীন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহঃ) একদিন আগে অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানী পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন।  এরপর থেকে সারাদেশে মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা এ নিয়ম পালন করে আসছেন।

বিডি প্রতিদিন/এস আহমেদ

সর্বশেষ খবর