১০ জানুয়ারি, ২০১৭ ২১:৫৮

টঙ্গীতে এগিয়ে চলছে বিশ্ব ইজতেমার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

আফজাল, টঙ্গী:

টঙ্গীতে এগিয়ে চলছে বিশ্ব ইজতেমার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিতব্য ৫২তম বিশ্বইজতেমা উপলক্ষে এগিয়ে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাশ উপেক্ষা করে স্বেচ্ছায় কাজ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মুসল্লিদের। 

১৬০ একর জায়গা বিস্তৃত ময়দানে বিশাল সামিয়ানা টানানোর কাজ প্রায় শেষ। তবে প্রচন্ড বাতাস থাকায় ময়দানের বেশ কিছু জায়গায় টানানো সামিয়ানা ছিঁড়ে ঝুলে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এদিকে ময়দানে খিত্তা ভিত্তিক চলছে মাইক বাঁধা এবং বৈদ্যুতিক তার ও বাতি টানানোর কাজ। 

ময়দানে আগত মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারের জন্য ময়দানের পশ্চিম পাশে তুরাগ নদীর ওপর সেনাবাহিনী কর্তৃক ৭টি ভাসমান সেতু (পল্টুন) স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সিটি’র পক্ষ থেকে ১২টি উৎপাদন নলকূপের মাধ্যমে ১২ কি:মি: পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ঘন্টায় ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ গ্যালন বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতসহ ওজু-গোসলের হাউজ ও টয়লেটসহ প্রয়োজনী স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ পাকা দালানে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। 

ময়দানের চাহিদা মোতাবেক ১০০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ ও ২৪ টি ফগার মেশিনে মশক নিধনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।  মিরপুর থেকে আসা এক মুসল্লি রকি বলেন, আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য মেহনত করতে ময়দানে এসেছি এবং স্বেচ্ছায় কাজ করছি। 

ইজতেমা ময়দানের মুরব্বি মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন, অনুষ্ঠিতব্য ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আগামী ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব ১৩ই জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে । এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২২ই জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব। আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান করবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ও আরবী ভাষায় তর্জমা করা হবে।

গাজীপুর সিটি মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ইজতেমা সুষ্ঠ ও সফলভাবে পালনের জন্য জিসিসির কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ১২ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সার্বক্ষনিক তা তদারকি করা হবে।


বিডি প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি ২০১৭/হিমেল

সর্বশেষ খবর