১ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:০৩

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা

অনলাইন ডেস্ক

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা

ফাইল ছবি

আজ পবিত্র আশুরা। ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী একটি দিন। বিশ্ব ইতিহাসেও এটি একটি বর্বরতম ঘটনার জন্য স্মরণীয় দিন। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে পালিত হচ্ছে এই দিনটি।

হিজরি ৬১ সনের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার ময়দানে শহীদ হন। তার মৃত্যুর দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুসলমানরা।

সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলমানরাও যথাযোগ্য মর্যাদায় পাালন করছেন পবিত্র আশুরা। বাংলাদেশেও প্রতিটি মুসলমানের ঘরে ঘরে এবং মসজিদ সমূহে বিশেষ দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার এ উপলক্ষে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও শিয়া মুসলমানরা দিনটিকে শোক ও মর্সিয়া দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

রাজধানীতে আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকায় হোসেনি দালানে সবচেয়ে বড় আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সেখান থেকে বের করা হয় তাজিয়া মিছিল। রবিবার সকালে বিশাল একটি তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। হাজারো মানুষ এই শোক মিছিলে ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম তুলে অংশ নেয়।

একই সময়ে মোহাম্মদপুর থেকে একটি তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিলে এবার ছুরির বদলে হাত দিয়ে বুক চাপড়িয়ে মাতম করতে দেখা যায়। কারবালার রক্তাক্ত স্মৃতির স্মরণে অন্যান্যবার নিজের দেহে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্ত ঝরিয়ে মাতম করা হয়। কিন্তু গত বছরের ন্যায় এবারও পুলিশের অনুরোধ ও হোসেনি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তার স্বার্থে ছুরি দিয়ে মাতম করা হবে না বলে জানা গেছে।

মূলত আশুরা শব্দটি ‘আশারা’ থেকে এসেছে। ‘আশারা’ অর্থ দশ। মহরম মাসের ১০ তারিখ এ জন্য আশুরা হিসেবে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে মহরম মাসের ১০ তারিখের আরো তাৎপর্য আছে। ইতিহাস মতে, এই দিনে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করলে, আল্লাহ আগুনের তাপকে ফুলের মত নরম করে দেন। এ-দিনেই হযরত মুসা (আ.) তার অনুসারীদের নিয়ে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে নীল নদ পার হন। আর তার পেছনে থাকা ফেরাউন তার দলবল নিয়ে ডুবে মরে নীল নদের পানিতে।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন রাজধানীতে বসবাসরত শিয়া মুসলমানদের পবিত্র আশুরা পালনের প্রস্তুতি দেখতে শনিবার পুরান ঢাকার হোসনি দালান পরিদর্শন করেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ১ অক্টোবর, ২০১৭/ তাফসীর‌

সর্বশেষ খবর