হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, তোমরা মাথা ওঠাও। অতঃপর তারা মাথা ওঠালে তাদের আমল অনুপাতে নূর প্রদান করা হবে। তাদের কেউ এমনও থাকবে, যাদের বড় পাহাড়সম নূর প্রদান করা হবে, যার আলোতে তারা চলবে। আবার কাউকে তা অপেক্ষা ছোট নূর প্রদান করা হবে।
আবার খেজুরগাছ সমতুল্য নূর কারো ডান হাতে প্রদান করা হবে। আবার কাউকে তা অপেক্ষা ছোট নূর প্রদান করা হবে।
অবশেষে একজনকে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে নূর প্রদান করা হবে, যা একবার প্রজ্জ্বলিত হবে আরেকবার নিভে যাবে। যখন আলোকিত হবে তখন সে পা ওঠাবে এবং নির্বাপিত হলে দাঁড়িয়ে যাবে।
সেদিন আল্লাহ তাআলা তাদের সামনে অবস্থান করবেন। অতঃপর জাহান্নামের ওপর রাস্তা বানানো হবে, যা পিচ্ছিল ও তরবারির চেয়ে ধারালো। এরপর বলা হবে, তোমরা অতিক্রম করো। তারা নিজেদের নূর অনুযায়ী অতিক্রম করবে।
কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ মেঘের গতিতে, কেউ নিক্ষিপ্ত তারকার গতিতে, কেউ বাতাসের গতিতে, কেউ দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে, কেউ দ্রুতগামী পদচারীর গতিতে পুলসিরাত অতিক্রম করবে। আর যার বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আলো প্রদান করা হবে সে মুখমণ্ডল, পা ও হাতের ওপর ভর করে অতিক্রম করতে যাবে। একসময় সে এক পায়ের ভরে ঝুলে যাবে এবং জাহান্নামের আগুনের প্রভাব অনুভব করবে। এভাবে চলতে চলতে সে নাজাত পেয়ে যাবে। নাজাতপ্রাপ্তির পর সে বলবে, ওই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমাকে এমন আলো দিয়েছেন, যা আমার দেখার পর অন্য কাউকে প্রদান করেননি। (সহিহুত তারগিব, হাদিস : ৩৫৯১, ৩৭০৪; মুসতাদরাক হাকেম : ৩৪২৪)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বস্তুত আল্লাহ যাকে আলো দেন না, তার কোনো আলো থাকে না।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৪০)
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ