আয়াতের অর্থ : ‘স্মরণ করো, যখন মুসা তার সঙ্গীকে বলেছিল, দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে না পৌঁছে আমি থামব না অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব। তারা উভয়ে যখন দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে পৌঁছাল, তারা নিজেদের মাছের কথা ভুলে গেল; তা সুড়ঙ্গের মতো নিজের পথ করে সমুদ্রে নেমে গেল।...মুসা বলল, আমরা সেই স্থানের অনুসন্ধান করছিলাম। অতঃপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৬০-৬৪)
আয়াতগুলোতে জ্ঞানার্জনের জন্য মুসা (আ.)-এর প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. আয়াতে ইঙ্গিত মেলে, সফরসঙ্গী ও সেবক হিসেবে যুবক ও সামর্থ্যবান লোক নিয়োগ দেওয়া উত্তম, যেন সে প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করতে পারে।
২. মুসা (আ.)-এর সফরসঙ্গী হিসেবে ইউশা (আ.) ছিলেন এবং দুই সমুদ্রের সঙ্গমস্থল বোঝাতে ফোরাত ও পারস্য উপসাগরের মিলিত হওয়ার স্থান উদ্দেশ্য।
৩. ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীর দৃঢ় সংকল্প আবশ্যক, যেন দীর্ঘ সফর ও তার কষ্ট সহ্য করতে পারে।
৪. আয়াত থেকে ইলম অর্জনের জন্য দূর-দূরান্তে সফর করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। এমনকি ব্যক্তি জ্ঞানে-গুণে অগ্রগামী হলেও ইলমের জন্য সফর করতে পারে।
৫. সফরে পাথেয় নেওয়া তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয় এবং প্রয়োজনে খাদেম (সেবক) নিয়োগ দেওয়ার অবকাশ আছে। (বুরহানুল কুরআন : ২/৩৫৯)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন