শিরোনাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১১:১৩

পাশে আছি, সিবিআইয়ের তল্লাশিতে মমতার বার্তা

অনলাইন ডেস্ক

পাশে আছি, সিবিআইয়ের তল্লাশিতে মমতার বার্তা

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সিবিআইয়ের তল্লাশির ঘটনায়  তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দফতর চত্বরে দিল্লির প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রাজেন্দ্র কুমারের ঘরে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে খবরটা ছড়িয়ে পড়ার পর মালদহের গাজোলে সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘‘দেশে ধর্মীয়, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা চলছে। রাজনৈতিকভাবে কাউকে মেনে নিতে পারছে না বলে এজেন্সিকে দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুনলাম এ দিন দিল্লির সিএমও-তে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কেন এমন হবে?’’ পরে তিনি এক ট্যুইট বার্তা বলেন, ‘এভাবে কোনো মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সিল করে দেয়াটা নজিরবিহীন। আমি স্তম্ভিত।’

দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতারাও। মমতা ও তার দলের নেতারা কেন এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজধানীর রাজনীতিকদের মধ্যে। তাদের অনেকেরই প্রশ্ন, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত নিয়ে কোণঠাসা অবস্থায় থাকা মমতা কি তবে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে? তার এক প্রাক্তন মন্ত্রী ও বরখাস্তকৃত সংসদ সদস্য সারদা মামলায় এখনও জেলে। আরেক নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সিবিআই দ্বিতীয় বার জেরা করার পরে গতকালই তাকে দলের যাবতীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, জেরার মুখে সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে তৃণমূলের কয়েক জন শীর্ষ নেতার নাম জানিয়েছেন শঙ্কু। সেই সূত্র ধরে দলের এক জন সাংসদকে তলব করার তোড়জোড় চলছে। দিল্লির রাজনীতিকদের প্রশ্ন, সিবিআই তদন্তের জল গড়াতে গড়াতে শেষ পর্যন্ত তার দোরগোড়াতেও পৌঁছে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা কি কাজ করছে মমতার মনে?

তৃণমূলের অবশ্য দাবি, তাদের প্রতিবাদের সঙ্গে সারদা তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। আজকের ঘটনা হল সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত। এটা রাজ্য বা দলের বিষয় নয়। ফলে গণতন্ত্রের স্বার্থেই তারা প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। ডেরেক বলেন, ‘‘আজ এ ঘটনা দিল্লিতে হয়েছে। কাল তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য কোনও রাজ্যে হতে পারে।’’ তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর হল ‘স্যাক্রোস্যান্ট’ (পবিত্র)। সেখানে সিবিআই তল্লাশি চালাতে পারে না।

তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, আজকের প্রতিবাদের পিছনে রয়েছে জাতীয় রাজনীতির নয়া সমীকরণ। গত কয়েক মাসে বিজেপি-বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ মুখ্যমন্ত্রীদের অক্ষ রচনার প্রধান কাণ্ডারি হিসেবে মমতা এবং কেজরীবাল উঠে এসেছেন। দু’মাস আগে কেজরিওয়ালের ডাকা বিজেপি-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একমাত্র মমতা। তার পর গত সপ্তাহে মমতার সঙ্গে সংসদে আসেন কেজরীবাল। এই বন্ধুত্বের প্রেক্ষাপটেই কেজরিওয়ালের স্বাধিকারে আঘাত লাগার ঘটনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

এদিকে, মমতার সমর্থনকে এ দিন দু’হাতে লুফে নিয়েছেন কেজরিওয়াল। মমতা টুইট করার পরে শুধু সেটি রি-টিউট করা নয়, পাল্টা টুইট-বার্তায় কেজরিওয়াল লেখেন, ‘‘মমতাদি, এ এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা।’’ এক বাম নেতার কথায়, ‘‘আসলে ভাবমূর্তি রক্ষার প্রশ্নে ‘দিদি’-কে পাশে চাইছেন কেজরিওয়াল। কেন্দ্র তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলে যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সহমর্মিতার আওয়াজ ওঠে।’’ আনন্দবাজার পত্রিকা। 

 


বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর