১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১২:১৭

সহিষ্ণুতার মধ্যেই শান্তি: মমতা

অনলাইন ডেস্ক

সহিষ্ণুতার মধ্যেই শান্তি: মমতা

কলকাতায় চলছে বড়দিন উৎসবের প্রস্তুতি। এরমধ্যেই ফের সহিষ্ণুতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অ্যালেন পার্কের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার আর্চবিশপ, বিশপ তো বটেই, জৈন, পার্সি প্রমুখ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা। ধুতি-পাঞ্জাবিতে বাঙালি সাজে সান্তাক্লজও হাজির ছিলেন। এসময় দেশের সব থেকে জোরালো রাজনৈতিক বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মমতা। সরাসরি কারও নাম না-করেই দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় মদত দেওয়ার অভিযোগে ‘দুষ্ট’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধলেন মমতা। এবং কোনও রকম রাখঢাক না করে শুনিয়ে দিলেন, ‘‘এ দেশে যখন দিকে দিকে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, তখন প্রভু যিশুর কাছে প্রার্থনা, তিনি আমাদের তারার আলো দেখান।’’ তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে অনেক জাতি-ধর্ম রয়েছে। তবু এর সৌন্দর্য হল ঐক্যে। এই সহিষ্ণুতার মধ্যেই শান্তি রয়েছে।’’

পার্কের ভিতরে কিংবা পার্ক স্ট্রিটের দু’ধারেও ফুটে উঠেছে কলকাতা তথা বাংলার রংবেরঙের মানুষজনের রংধনু। রাজ্যের মেলায়-মেলায় পরিচিত ‘পৌষ-পার্বণ’-এর পিঠেপুলির স্বাদ তো আছেই। আবার নামকরা কনফেকশনারি ফ্লুরিজ, গ্রেট ইস্টার্নের সঙ্গে কলকাতার বিভিন্ন অখ্যাত কিন্তু সৃষ্টিশীল ‘হোম বেকার’রাও হাজির তাদের সৃষ্টি সুদৃশ্য পেস্ট্রি-পাফ-কাপ কেকের সম্ভার নিয়ে। নানা কিসিমের নেপালি আচার, শাকপাতা, মোমো নিয়ে হাজির দার্জিলিংয়ের নেপালি ও লেপচা ছেলেমেয়ের দল। আবার কলকাতার চিনে পরিবারের মেয়ে-বউরা এসেছেন রকমারি ঘরোয়া মুখরোচক রান্না নিয়ে। এ শহরের গোয়ান ও অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সমাজের কয়েক জন চেনা মুখের সঙ্গেও পার্ক স্ট্রিটের এই উৎসবে দেখা হবেই হবে। তাঁরাও নিয়ে আসেন বিভিন্ন সুস্বাদু ঘরোয়া রান্না। এ দিনই মেলার প্রথম দিন, তাই সব স্টল এখনও খোলেনি। কিন্তু সুখাদ্যের সুগন্ধ রাজপথে ছড়িয়ে পড়তে শুরু হয়েছে।

মমতা বলেন, ‘‘আগের বার আলো একটু কম হয়েছে মনে হওয়ায় পিছনে লেগে থেকে থেকে আলো আরও বাড়িয়েছি।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন সবাইকে, বড়দিনের সন্ধ্যায় কোনও গাড়ি চলবে না পার্ক স্ট্রিটে। সে দিন জনতা হেঁটে-হেঁটে পার্ক স্ট্রিটে ঘুরে আলোর সাজ উপভোগ করার সুযোগ পাবে। নতুন বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসবের সাজ খুলবে না কলকাতা।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর