শিরোনাম
২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৫:৪৭

বিহারে মদের সব দোকান হয়ে যাবে দুধের দোকান

অনলাইন ডেস্ক

বিহারে মদের সব দোকান হয়ে যাবে দুধের দোকান

মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার; তাহলে এত মদের ব্যবসার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাতের রুটি-রুজির কী হবে? সেই সমস্যার সমাধানও বাতলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মদের দোকান দুধের দোকানে পরিণত  করার পরিকল্পনা হাজির করেছেন তিনি।

নীতিশের পরিকল্পনা সফল হলে বিহারের মদের দোকানে এখন যেভাবে থরে থরে বোতল সাজানো থাকে, সেখানে থাকবে দুধের প্যাকেট। জনতা দল-ইউনাইটেডের সর্বভারতীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসে নীতিশ কুমার এই পরিকল্পনা জানান বলে টাইমফ অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত মাসে ফের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরপরই রাজ্যে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন নীতিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে গ্রামীণ এলাকার সব দেশি মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার পরের প্রথম এক বছর শহর এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে হুইস্কি, রাম বা বিয়ার বিক্রি করা হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মদ বিক্রি বন্ধ করা হলে এসব দোকানের কমর্চারীদের কী হবে- সেই প্রশ্ন উঠলে তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মদ ব্যবসায়ীদের দুধের ব্যবসায়ী বানানোর লক্ষ্য ঠিক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

নীতিশ কুমারের পরিকল্পনা সফল হলে বিহারের এই মদের দোকানেও এসব বোতলের বদলে দেখা যাবে দুধের প্যাকেট নীতিশ কুমারের পরিকল্পনা সফল হলে বিহারের এই মদের দোকানেও এসব বোতলের বদলে দেখা যাবে দুধের প্যাকেট। নীতিশ বলেন, “রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরে ওই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা তাদের পুনর্বাসন প্রশ্নে সরব হয়েছিলেন। সরকারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিল। তার পরে ঠিক হয়েছে মদের দোকানগুলিতে ভবিষ্যতে দুধ বিক্রি হবে।”

গত কয়েক দশক ধরেই বিহার স্টেট মিল্ক সমবায় সংস্থা বা কমফেড সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে আসছে। কমফেড-এর অধীনে গোটা রাজ্যে ‘সুধা’ বলে যে ব্র্যান্ডের দুধ বিক্রি হচ্ছে, তাই মদের দোকানগুলোতে চালাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলছেন, এতে মদের দোকানি ও কর্মচারীদের বেকার হওয়া বন্ধের সঙ্গে দুগ্ধ সমবায় গোষ্ঠীর ব্যবসায়ও গতি আসবে।

মদে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে নীতিশের সরকারের যুক্তি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির পুরুষেরা তাদের আয়ের একটি বড় অংশ মদের পেছনে উড়িয়ে দেন। এতে ওই সব পরিবারের স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা কোনো ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় খরচ করার সামর্থ্য থাকে না। তা ছাড়া অধিকাংশ নারী নির্যাতন-অপরাধের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে এই মদ্যপান।

দলমত-নির্বিশেষে বিহারের অধিকাংশ নারীই মদ বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও এনিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তি তুলছে না।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিডি-প্রতিদিন/ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর