২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:০৬

শনিবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম দফায় ৫৩ আসনে ভোট

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

শনিবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম দফায় ৫৩ আসনে ভোট

আগামীকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্চম দফায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (৩১), হুগলি (১৮) এবং কলকাতা (৪)'র ৫৩ আসনে ভোট নেওয়া হবে। ভোট শুরু হবে সকাল ৭টা থেকে, কোনোরকম বিরতি ছাড়াই চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। তিন জেলা মিলিয়ে মোট ভোট কেন্দ্র ১৪,৬৪২ টি। মোট ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩২ জন। ১৬,৮৩৮ টি ইভিএম'র মাধ্যমে ভোট দান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আর ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৩৪৯ জন প্রার্থীর, এর মধ্যে ৪৩  জন নারী। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৪৩ জন কোটিপতি। আবার ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জমাকৃত হলফনামায় জানা গেছে,  ৩৯ জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে।

হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়, ওই কেন্দ্র থেকেই বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেসের সাবেক সাংসদ দীপা দাশ মুন্সি এবং বিজেপির প্রার্থী রয়েছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সদস্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র কুমার বসু। একাধিক মন্ত্রীরও ভাগ্য পরীক্ষা হবে এদফায়। যার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যটির বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত, ফায়ার সার্ভিসের মন্ত্রী জাভেদ খান, যুবকল্যাণ ও আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের সেলিব্রিটি প্রার্থী গায়ক ইন্দ্রনীল সেন, ফুটবলার মহম্মদ নবি। সিপিআইএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাজ্যটির সাবেক মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা, সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব, শতরূপ ঘোষ।

কলকাতার ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রীতিমতো উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শহরের চার কেন্দ্রের অলিতে গলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা, ফেস্টুন, প্রার্থীর ছবি দিয়ে কাটআউট কিছুই বাদ নেই। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা রাজনৈতিক দলের চিহ্ন দিয়ে তৈরি করা মিষ্টিও বিক্রি হচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি নামী দোকানে। পুরো ছানা দিয়ে তৈরি ২৫০ গ্রামের একটি সন্দেশের দাম ১২৫ র'পি।
এদিকে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে প্রতিটি জায়গাতেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীরর কড়া নজরদারি। তিনটি জেলায় কোনোরকম সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৬৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকছে ২৬ হাজার রাজ্য পুলিশ। আরো থাকছে ২২৫টি কুইক রেসপন্স টিম, ১৪৬ টি ফ্লাইং স্কোয়াড, ১৩৬ টি এম.সি মোবাইল, মাইক্রো অবসারভার, ওয়েব কাস্টিং, সিসিটিভি।

গতকাল বিকেলে প্রচারণা পর্ব শেষ হতেই তিনটি জেলাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ভোট শেষ না হওয়ার পর্যন্ত জারি থাকবে এই ধারা। ফলে ওই সময়ে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি থাকতে পারবে না। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নিতে দিল্লি থেকে উড়ে এসেছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজাহারউদ্দিন, শচীন পাইলট, বিজেপি'র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ প্রমুখ। আর তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ টালিগঞ্জের সেলেবরা তো ছিলেন-ই।

বিডি-প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর