২৪ মে, ২০১৬ ১৯:৫১

বাংলাদেশের পেঁয়াজের ঝাঁঝ আনন্দবাজারে

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের পেঁয়াজের ঝাঁঝ আনন্দবাজারে

বাংলাদেশের পেঁয়াজের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। সেখানে বলা হয়, ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে যাচ্ছে আট টাকা কেজি দরে। অথচ বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। খুচরো বিপণনে দাম বেশি হয়। তাই বলে এতোটা তফাৎ কেন হবে? শুল্ক মূল্য ধরে দাম হতে পারতো ১৬ টাকা। কলকাতায় এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজিতে। 

আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যে পেঁয়াজ হয় তার সাইজ ছোট। তারউপর দামও বেশি। ৪৫ টাকা কেজি। উৎপাদন ভাল। বছরে চাহিদা ২২ লাখ টন। বাংলাদেশের উৎপাদন ১৭ লাখ টন। এ বছর আমদানি পাঁচ লাখ টন। যোগান যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রমজানে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়বে। তার আগেই ১০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি। আগেভাগে দাম বাড়িয়ে মুনাফার গ্যারান্টি। রসুনও নাগালের বাইরে। বাংলাদেশের রসুন ১০০ টাকা কিলো। চীনের রসুন ২০০। দামের পার্থক্য গুণগত কারণে। কিন্তু তারপরও চীনের রসুনের দাম এতো ওপরে উঠবে কেন। চীন থেকে আমদানি ১৩০ টাকায়। সেখানেও যুক্তি, পেঁয়াজের চেয়ে রসুনের বিক্রি কম। এক কেজি পেঁয়াজ নিলে রসুন নেয় ১০০ গ্রাম। এতো কম বিক্রিতে দাম একটু বেশি না হলে নাকি চলে না। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথায় কে পারবে। তারা বাজারে নামে কোমর বেঁধে। ক্রেতারা শরমে মরে।

আনন্দবাজারের মতে, ঢাকা-কলকাতা বাজার দরে খুব একটা পার্থক্য নেই। কেনা মানে জ্বলন্ত আগুনে হাত দেওয়া। বাঙালি ঝাল খেতে ভালবাসে। তার ওপরও কোপ। কাঁচামরিচ ক’দিন আগে ছিল ৬০, এখন ১৪০। কাঁচামরিচ হয় মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বৃষ্টি নেই, সেচ নেই। গাছ শুকিয়েছে। কাঁচামরিচের ঝালও বেড়েছে। আলু ১৪ থেকে এক লাফে ২৮। বেগুন, ঝিঙে ৪০। টমেটো, উচ্ছে ৫০। পটল, ঢেঁড়শ ৩০‌। মুরগির কেজি ১৯০, রুই ১৬০, কাতলা ২০০। দাম আর দম দুই-ই বাড়ছে আদার। কেজি ১২০। ঢাকায় দাম উনিশ-বিশ।

সংবাদমাধ্যমটি আরও লিখেছে, রমজানে সবচে' বেশি দরকার ডাল, ছোলা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর। খেজুরের মেজাজ বোঝা দায়। ১২০ থেকে বেড়ে ৩০০। চাহিদা ১৫ হাজার টন। আমদানি ২০ হাজার টন। টান পড়ার কথা নয়। তাতেও আয়ত্বের বাইরে। মসুর ডালের উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার টন। আমদানি ১ লাখ ৩৬ হাজার টন। চাহিদা ৩ লাখ টনের বেশি। উপযুক্ত সরবরাহ সত্ত্বেও দামে আগুন। আন্তর্জাতিক বাজারে কেজি ৬৮, বাংলাদেশে ১৫৫। ছোলা ৭৫ থেকে বেড়ে ৮৫। অবস্থা সামাল দিতে মাঠে নেমেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবি। রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য তারা বিক্রি করবে ১৭৪টি ট্রাকে। ন্যায্য দামে মিলবে প্রয়োজনীয় সব কিছুই। তা না হয় হল। বাজার কী চড়তেই থাকবে। পকেট কাটা বন্ধ হবে না। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েও পার পাবে। এখনও পর্যন্ত একটাই সান্ত্বনা, ভোজ্য তেলের দাম বাড়েনি। শুধু তেলে তো রান্না হয় না। আরও যে অনেক কিছু চাই।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ মে, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর