২৫ জুন, ২০১৬ ১৬:৪৩

মঙ্গলকোটে জীবাশ্মের সন্ধান, চলছে গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক

মঙ্গলকোটে জীবাশ্মের সন্ধান, চলছে গবেষণা

বাড়ির কাজ চলছিল। মাটি খুঁড়তে গিয়ে বের হয়ে এলো কালো পাথরের মতো একটি খণ্ড। মাটির তিন ফুট গভীরে পাওয়া যায় এটা। এই ‘‌প্রস্তরখণ্ড’‌টি প্রায় লক্ষাধিক বছরের পুরনো বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি সেটা মানুষ না পশুর। 

ভারতের মঙ্গলকোটকে বলা হয় প্রত্নতত্ত্বের খনি। আর সেখানেই মিলেছে ওই জীবাশ্ম। মঙ্গলকোটের মাটির নিচে পাল যুগ, সেন যুগ, গুপ্ত যুগ থেকে শুরু করে আরও প্রাচীন আমলের বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর আগে সেখানে উদ্ভিদের ফসিল বা জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু প্রাণীর এবারই প্রথম। এটি দেখে মনে হবে চারটি স্তরে কোনও পশুর পায়ের ছাপ। দৈর্ঘ্যে ইঞ্চি ছয়েক। চওড়ায় ইঞ্চি চারেক। 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় বা ব্যক্তিগত স্তরে বারবার খননকার্য হয়েছে মঙ্গলকোটে। মিলেছে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কলকাতার জাদুঘর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় এমন বহু নিদর্শন রাখা আছে। নিদর্শনগুলির মধ্যে রয়েছে মূর্তি, আসবাবপত্র, অলঙ্কার, খেলনা ইত্যাদি। 

প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, মানবসভ্যতার বিকাশের ঘটনা ঘটেছিল মঙ্গলকোটে। তখন অজয় নদ আরও দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হত। এখানে একসময় বড় নগরী ছিল। পরবর্তী সময়ে তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটির তলায় চলে যায়। এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনের দাবি, মঙ্গলকোটের বুকেই গড়ে উঠুক একটি সংগ্রহশালা। তা হলে অনুসন্ধিৎসু গবেষক ও পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে।‌

 


বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জুন, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর