২৭ আগস্ট, ২০১৬ ১৮:২০

সীমান্ত থেকে পশুর হাট সরাতে বিএসএফের আর্জি

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

সীমান্ত থেকে পশুর হাট সরাতে বিএসএফের আর্জি

ফাইল ছবি

সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার রুখতে পশ্চিমবঙ্গের বিগত বাম সরকারের জারি করা এক নির্দেশিকাকে বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে আর্জি জানালো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ২০০৩ সালে বাম সরকারের আমলে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা অবনতির কারণে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোন গবাদি পশুর হাট বসানো যাবে না। 

বাম সরকারের সেই নির্দেশিকা বাস্তবায়নের জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে গত দশ মাসে বিএসএফ তিনটি চিঠি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে গবাদি পশুর হাট বসানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এই মুহূর্তে সীমান্ত বরাবর ২০টি পশুর হাটের মধ্যে ৬টি হাট সেই নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। এই ৬টি পশুর হাট পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পাঁচপেতা, নদীয়া জেলার হাকনাবাড়ি, মালদা জেলার পাপুয়াহাট এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষ্ণপুর, ধানিরামপুর ও ধুলিয়ানে অবস্থিত। প্রতিটি পশুর হাট সরকারি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করছে বলে বিএসএফের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, হাটগুলি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৩-৫ কিলোমিটারের অবস্থিত। সীমান্তের খুব কাছাকাছি হওয়ায় এই হাটগুলি থেকে প্রচণ্ড পরিমাণে গরু পাচার হয়ে থাকে বলে অভিযোগ।

মমতা ব্যানার্জির সরকার বিগত বাম সরকারের এই নির্দেশিকা বাতিল না করলেও গরু পাচার ও সীমান্ত নাশকতা রুখতে এক দশকের বেশি পুরনো এই নির্দেশিকা এখনও কার্যকর করেনি। ওই নির্দেশিকায় পঞ্চায়েতগুলির জন্যও কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। 

গত ২১ জুলাই বিএসএফ-এর তরফে পাঠানো শেষ চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আর্জি জানানো হয়েছে কুরবানীর ঈদের সময় ওই পশুর হাটগুলিকে যেন তুলে দেওয়া হয়। কারণ এই সময়েই গবাদি পশু পাচার বেশি হয়ে থাকে। এব্যাপারে বিএসএফ’এর আইজি (দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ার) সন্দীপ সালুঙ্কে জানান, ‘আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি যে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এই নীতি বাস্তবায়ন করবে এবং এই স্থানগুলিতে পশুর হাটগুলিকে অন্যত্র সরানো হবে’।

সীমান্ত থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে পশু হাট সরানোর পাশাপাশি গবাদি পশু বহনকারী গাড়িগুলির ওপর নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়েছে বিএসএফের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে রাজ্য পুলিশের উচিত সীমান্তে পৌঁছোনোর আগে গবাদি পশু বহনকারী গাড়িগুলিকে আটকানো। কারণ একবার যদি গাড়ি গুড়ি সীমান্তে পৌঁছে যায় তবে তাদের আটকানো অনেক কষ্টকর।            


বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর