২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:০০

মূর্তি নয়, দুর্গার কাটা মুণ্ড পূজা হয় যে গ্রামে

অনলাইন ডেস্ক

মূর্তি নয়, দুর্গার কাটা মুণ্ড পূজা হয় যে গ্রামে

দুর্গা বা তার সন্তান-সন্ততিদের মূর্তি নেই। দেবীর বাহনও নেই। পশ্চিমবঙ্গের কেতুগ্রামের গোমাইগ্রামে রায় পরিবারে দুর্গার কাটা মুণ্ড পূজা হয়। প্রায় সাড়ে তিনশ' বছর ধরে এইভাবেই পূজা হয়। বনেদি পরিবারের এই পূজাকে কেন্দ্র করেই মেতে থাকে পুরো গ্রাম।

রায় পরিবারের প্রবীণ সদস্য শক্তিকুমার রায় জানান, পূর্বে তাদের বাড়ি ছিল আউশগ্রামের দিগনগর গ্রামে। এক পূর্বপুরুষ কর্মসূত্রে গোমাইগ্রামে আসেন। এলাকার পরিবেশ পছন্দ হলে ঘর-বাড়ি করে এখানেই বসবাস শুরু করেন। দিগনগর গ্রামে তাদের কুলদেবী দুর্গার একই ধরনের মুণ্ড পূজা হয়। শক্তিকুমার বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষ বসবাস শুরু করার পর তার স্বপ্নাদেশ হয়। দেবীর নির্দেশে তিনি গোমাইগ্রামে একই আদলে দেবী পূজা শুরু করেন।

এছাড়া এখানে এ পূজায় চণ্ডীপাঠ করা হয় না। রায়বাড়িতে অরন্ধন দিবস পালিত হয়। শোভাযাত্রা সহকারে দেবীর মুখ দোলায় চাপিয়ে পুরো গ্রাম ঘোরানো হয়।শোভাযাত্রা শেষে দোলাটি নামানো হয় ঠাকুর পুকুরের পাড়ে। তারপর বাজনা থামিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন সবাই। কারণ একসময় দেবীর বিসর্জনের মুহূর্তে পুকুরের উপরে পাক খেয়ে কোনো একটি গাছে এসে বসতো শঙ্খচিল। এখনো নাকি মাঝে মাঝে শঙ্খচিল দেখা যায়। প্রথা মেনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় শঙ্খচিলের জন্য। তারপর দেবীর ভাসান হয়। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন। 


 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর