২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১২:১৭

ডেঙ্গুর ভয়াবহ থাবা, সারা বছর মশা মারার নির্দেশ রাজ্য সরকারের

অনলাইন ডেস্ক

ডেঙ্গুর ভয়াবহ থাবা, সারা বছর মশা মারার নির্দেশ রাজ্য সরকারের

ভারতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তাই ভয়াবহ এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে সারা বছর ধরে মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালু রাখতে পৌরসভাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্ন। 

বুধবার নবান্নে ডেঙ্গু নিয়ে বৈঠকে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

বর্ষা বিদায়ের পরেও রাজ্য থেকে ডেঙ্গু বিদায় দেয়নি। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা অনেক ক্ষেত্রে দিশা খুঁজে বের করার আগেই মাল্টিঅর্গান ফেইলিওর কিংবা শক সিন্ড্রোমে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। ডেঙ্গুর এই প্রতাপে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন।

কেন এখনও ডেঙ্গুতে রাশ টানা যাচ্ছে না, তা পর্যালোচনার জন্য গতকাল বুধবার জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে। রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তা ও ডেঙ্গু কবলিত পৌরসভাগুলির কর্তারা ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন পৌর দফতরের কর্তারা।

স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ৬ হাজারের উপরে রক্তের নমুনার ফল এখনও মেলেনি। ডেঙ্গু উপসর্গ সহ এমন ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে গত দেড় মাস ধরে কোনও ডেঙ্গু রিপোর্ট পাঠায়নি রাজ্য। সর্বশেষ রিপোর্টে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩২। সেই সংখ্যাটা যে গত দেড় মাসে আরও বেড়েছে, তা এ দিনের বৈঠকেই পরিষ্কার হয়েছে। সব থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বিধাননগর পৌরসভায়। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০।

কলকাতা এবং সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালগুলির রিপোর্ট বলছে, রাজ্যে এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নবান্নের ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলেও বিভিন্ন হাসপাতাল ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গু শব্দটাই লিখছে না। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে মাল্টিঅর্গান ফেইলিওর এবং শক সিন্ড্রোম।

মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ঠিক মতো না হওয়াতেই এবার ডেঙ্গুকে এখনও বশ মানানো যাচ্ছে না বলে মনে করছেন বেশির ভাগ পতঙ্গবিদ। কেন মশা নিয়ন্ত্রণ ঠিক মতো হচ্ছে না— এ দিন তা পৌরসভাগুলির কাছে জানতে চান স্বরাষ্ট্রসচিব। পৌরসভাগুলির ব্যাখ্যা- মশা মারার অভিযান চলছে। কিন্তু মশার লার্ভা মারার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো কীটনাশক কাজ করছে না। মশা মারার তেলেও কোনও ক্ষতি হচ্ছে না লার্ভার। ফলে রোগ ছড়িয়েই চলেছে।

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর